২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আসছে মুসলিম উন্নয়নের স্বর্ণযুগ

-

আমরা ইতিহাসের এমন একটি বিশেষ সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে সামগ্রিকভাবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশ ইতিহাসের অনিবার্য ধারাবাহিকতার উন্নয়নের স্বর্ণযুগের দ্বারপ্রান্তে। চলতি শতক হবে মুসলিম শতক। কেউ পছন্দ করুক আর নাই করুক, এই শতাব্দীতে মুসলিম জনসংখ্যা যে অন্য সব ধর্মবিশ্বাসীদের ছাড়িয়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যেসব মহাকারণে একবিংশ শতাব্দী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বর্ণযুগ হতে যাচ্ছে তার প্রধান তিনটি কারণ জনসংখ্যার সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রথমত, মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার হার বিশ্বের গড় জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া হারের তুলনায় বেশি; দ্বিতীয়ত, তরুণ মুসলিম জনসংখ্যা বিশ্বের গড় তরুণ জনসংখ্যার তুলনায় বেশি; এবং তৃতীয়ত, মুসলিম জনসংখ্যা পুনঃস্থাপনের হার বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যা পুনঃস্থাপনের তুলনায় দ্রুত। আমার এই বক্তব্যকে সমর্থন করছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ গবেষণা সংস্থাগুলোর একটি যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্ন সেন্টার।

বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৭৩০ কোটি। যার মধ্যে ২৩০ কোটি খ্রিষ্টান, ১৮০ কোটি মুসলমান, হিন্দু ১১০ কোটি, ১১০ কোটি মানুষের বিশেষ কোনো ধর্ম নেই এবং বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। বর্তমান বিশ্বে খ্রিষ্টান মায়েরা সবচেয়ে বেশি শিশুর জন্ম দিচ্ছে। কিন্তু পিউ রিসার্চ বলছে, আগামী ১৫-১৬ বছর তথা ২০৩৫ সাল নাগাদ এই চিত্র বদলাতে শুরু করবে। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ২২ কোটি ৩০ লাখ খ্রিষ্টান শিশু জন্ম নেয়। আর মুসলিম শিশুর জন্ম হয় ২১ কোটি ৩০ লাখ। কিন্তু ২০৩০-৩৫ মেয়াদে ২২ কোটি ৪০ লাখ খ্রিষ্টান শিশু এবং ২২ কোটি ৫০ লাখ মুসলিম শিশুর জন্ম নেবে।

এখন থেকে আগামী দশকগুলোতে মুসলমানরা হবে সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু ধর্মীয় সম্প্রদায়। এর লক্ষণ এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০১০-১৫ মেয়াদে বিশ্ব জনসংখ্যার ৩১.২% ছিল খ্রিষ্টান ও মুসলমানরা ছিল ২৪.১%। কিন্তু অনুপাতের বিচারে এই মেয়াদে বিশ্বে জন্ম নেয়া শিশুর ৩৩% ছিল খ্রিষ্টান আর ৩১% মুসলমান। আবার, একই সময়ে বিশ্বে যত মানুষ মারা গেছে তার ৩৭% ছিল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। অন্যদিকে মুসলিম ছিল ২১%। এই চিত্রটি বিশেষ করে ইউরোপের জন্য সত্য। সেখানে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী বয়স্ক মানুষের সংখ্যাও তুলনামূলক বেশি। এ ক্ষেত্রে পিউ রিসার্চ জার্মানির উদাহরণ দেয়। সেখানে ২০১০-১৫ মেয়াদে যত খ্রিষ্টান শিশু জন্ম নেয় তার চেয়ে ১৪ লাখ বেশি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী মারা যায়।

২০৩০-৩৫ মেয়াদে খ্রিষ্টানদের চেয়ে বেশি মুসলিম শিশু জন্মগ্রহণের কারণ হবে মূলত মুসলিম তরুণ জনগোষ্ঠী হবে বড় এবং মুসলিম নারীদের সন্তান জন্মদানের হার হবে বেশি। এই মেয়াদে খ্রিষ্টানেরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মর্যাদা ধরে রাখবে। কিন্তু তার ২০ বছর বাদেই চিত্রটি বদলে যাবে।

পিউ রিসার্চ আভাস বা প্রজেকশন দিয়েছে যে, ২০৫৫-৬০ মেয়াদে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই ধর্মীয় গ্রুপ মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে শিশু জন্মের পার্থক্য হবে ছয় লাখ। এই মেয়াদে মুসলিম ও খ্রিষ্টান শিশুর জন্ম হবে যথাক্রমে ২৩ কোটি ২০ লাখ ও ২২ কোটি ৬০ লাখ। এই সময়ে বিশ্বে জন্ম নেয়া ১০টি শিশুর মধ্যে সাতটি মুসলিম (৩৬%) বা খ্রিষ্টান (৩৫%) ধর্মের হবে।

গবেষণা আরো বলছে, শিশুরা সাধারণত মায়ের ধর্ম গ্রহণ করে। তবে সব শিশু যে তার মায়ের ধর্মীয় পরিচয় গ্রহণ করবে এবং সেই ধর্মের অনুসারি হবে তার নিশ্চয়তা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রবণতা বেশি। সেখানে অনেককে শিশুকালের ধর্ম পরিচয় প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ত্যাগ করতে দেখা যায়। কেউ হয়তো শিশুকালে খ্রিষ্ট ধর্মের ছিল কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ধর্মত্যাগ করছে। আবার এর উল্টোটাও ঘটছে। অবশ্য বিশ্বের অনেক দেশে ধর্মীয় পরিচয় বদল করার আইন নেই। দেখা গেছে, ধর্মীয় পরিচয় বদল করে ধর্মীয় পরিচয়বিহীন হওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। আর এই প্রক্রিয়াতেও খ্রিষ্টধর্ম বিশ্বাসী সংখ্যা কমেছে। ২০১০-১৫ মেয়াদে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা স্বাভাবিক বেড়েছে (জন্ম থেকে মৃত্যু বাদ দেয়ার পর) হয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ। কিন্তু ধর্মীয় পরিচয় বদলের কারণে এই সংখ্যা কমেছে ৯০ লাখ। একই সময়ে মুসলিমদের সংখ্যা স্বাভাবিক বেড়েছে ১৫ কোটি ২০ লাখ। পাশাপাশি অন্য ধর্ম থেকে মুসলমান হয়েছে পাঁচ লাখ।

২০৬০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৬০ কোটিতে দাঁড়াবে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে, ৩৫ বছরে, মুসলিমদের সংখ্যা বাড়বে ৭০%। মুসলিমদের জনগোষ্ঠীতে তরুণদের সংখ্যা হবে বেশি এবং প্রজনন (Fertility) হারও থাকবে বেশি। এই সময়ে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা বেড়ে হওয়ার হার হবে ৩৪%। গবেষণা বলছে, ২০৬০ সালে বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা হবে ৩০০ কোটি (মোট জনসংখ্যার ৩১%), আর খ্রিষ্টান হবে ৩.১ বিলিয়ন (মোট জনসংখ্যার ৩২%)। ২০২০-৬০ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সংখ্যা বাড়বে চার লাখ (৩.১-২.৩)। অন্য দিকে, মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাড়বে ১২০ কোটি (৩.০-১.৮)। এই আভাসকে পরবর্তী ৪০ বছরের জন্য, অর্থাৎ ২১০০ সাল পর্যন্ত এক্সট্রাপুলেট (extrapolate) করা গেলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ মুসলমানরাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী।

২০৬০ সাল নাগাদ মুসলমান ও খ্রিষ্টান ছাড়া বিশ্বের বাকি বড় ধর্মগুলো হবে বিশ্ব জনসংখ্যার ক্ষুদ্র অংশ। হিন্দু, ইহুদি ও লোকধর্মবিশ্বাসী (folk religions) জনসংখ্যা নিরঙ্কুশ সংখ্যায় বাড়লেও এগুলো বিশ্ব জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে তাল মেলাতে পারবে না। এই সময়ে হিন্দু হবে বিশ্ব জনসংখ্যার ২৭% বা ১৪০ কোটি। ইহুদি সংখ্যা ২০১৫ সালের ১ কোটি ৪৩ লাখ থেকে বেড়ে ২০৬০ সালে হবে ১ কোটি ৬০ লাখ। আর লোকধর্ম বিশ্বাসী সংখ্যা বর্তমানের ৪১ কোট ৮০ লাখ থেকে হবে ৪৪ কোটি ১০ লাখ। লোকধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে রয়েছে আফ্রিকান উপজাতি, চীনা লোকধর্ম বিশ্বাসী, আমেরিকান আদিবাসী, অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ও অন্যরা।

২০৬০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৩২% বাড়বে। আর প্রধান ধর্মগুলোর মধ্যে মুসলমান সংখ্যা বাড়বে ৭০%, খ্রিষ্টান ৩৪%, হিন্দু ২৭%। তবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সংখ্যা কমে যাবে। ২০১৫ সালে বিশ্বে ৫০০ মিলিয়ন বৌদ্ধ ছিল এবং ২০৬০ সালে এই সংখ্যা ৪৬ কোটি ২০ লাখে নেমে যাবে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ডের মতো বৌদ্ধপ্রধান দেশগুলোতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর কারণে এই জনসঙ্কোচন দেখা দেবে। বাহাই, জৈন, শিখ, তাওবাদীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আরো অনেক ধর্মবিশ্বাসীর সংখ্যাও কমবে।

একবিংশ শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বে তারুণ্যের সুনামি দেখা দেবে। এর কারণ হবে এই জনগোষ্ঠীর গড় বয়স ও মুসলিম নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা তথা উর্বরতা। বিশ্বে মুসলিম জনগোষ্ঠী হবে তুলনামূলক তরুণ। বিশ্বের জনসংখ্যার গড় বয়স যেখানে ৩০ বছর সেখানে মুসলমানদের গড় বয়স মাত্র ২৪ বছর। খ্রিষ্টানদের গড় বয়সও ৩০ বছর। হিন্দুদের গড় বয়স ২৭ বছর। মুসলমানরা কেন সংখ্যায় অন্য ধর্মবিশ্বাসীদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে এ থেকেও সেটি বোঝা যায়। বর্তমানে প্রতিজন মুসলিম নারী গড়ে ২.৯ জন সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, যা জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় গড়ের (২.১) অনেক ওপরে। খ্রিষ্টান নারীদের সন্তান জন্মদানের হার ২.৬। নারীদের সন্তান জন্মদানের বৈশ্বিক গড় ২.৪ জন। হিন্দু সমাজে নারীপ্রতি সন্তানের জন্ম সংখ্যাও ২.৪ জন। ইহুদিদেরও একই। অন্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর উর্বরতা হার তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে ধর্মবিশ্বাসী নারীদের মধ্যে কম বয়সীদের সংখ্যা বেশি এবং এদের সন্তান জন্মদানের প্রবণতাও বেশি।
আগামীতে অন্য যেকোনো ধর্মীয় গ্রুপের তুলনায় স্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মুসলমানেরা এগিয়ে থাকবে। পিউ রিসার্চ ২০১০-১৫ মেয়াদের হিসাবে দেখিয়েছে, এই ৫ বছরে মুসলিম সংখ্যা বেড়ে যায় ২১ কোটি ৩০ লাখ, মারা যায় ৬ কোটি ১০ লাখ। ফলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় ১৫২ মিলিয়ন। অন্য দিকে খ্রিষ্টান সংখ্যা বেড়ে যায় ২২ কোটি ৩০ লাখ, মারা যায় ১০ কোটি ৭০ লাখ। অর্থাৎ স্বাভাবিক বৃদ্ধি ১১ কোটি ৬০ লাখ। হিন্দু জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে ছয় কোটি ৭০ লাখ, বৌদ্ধদের এক কোটি ২০ লাখ।

আভাসে আগেই বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ মুসলিম বিশ্বে জন্ম নেয়া শিশু সংখ্যা খ্রিষ্ট বিশ্বকে ছাড়াতে শুরু করবে। আর ২০৬০ সাল নাগাদ দুই ধর্মবিশ্বাসী শিশু জন্ম সংখ্যা পার্থক্য দাঁড়াবে মাত্র ৬০ লাখ। একই সময় নাগাদ হিন্দু শিশু সংখ্যা কমবে। এটা হবে মূলত ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে হিন্দু নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে। বিশ্বের ৯৪% হিন্দু ভারতে বাস করে। ২০১০-১৫ সালের মধ্যে ইউরোপের ৪২টি দেশের মধ্যে ২৪টি দেশেই খ্রিষ্টান পরিবারগুলোতে জন্মের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল বেশি। কিন্তু কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রেই মুসলিম জন্মকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি মৃত্যু সংখ্যা।

বিশ্বে খ্রিষ্টধর্ম বিশ্বাসী জনসংখ্যা কমার আরেকটি কারণ হলো- ধর্মান্তরিত হওয়া। আভাসে বলা হয়েছে, ২০১৫-২০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৫০ লাখ মানুষ তাদের বিশ্বাস পরিবর্তন করে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবে। কিন্তু এক কোটি ৩০ লাখ খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করবে। এরা অন্য ধর্মে আশ্রয় নেবে অথবা ধর্মহীন হবে।

ইসলামের আবির্ভাবের হিজরি ১৪৪১ বছরের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা এই প্রথম। এরই প্রেক্ষাপটে বলা যায়, চলতি শতকের বৈশ্বিক প্রবণতা থেকে ৯০ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এই বাংলাদেশও মুক্ত থাকবে না। কিন্তু জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া সমস্যা শুধু পরিমাপের সমস্যা নয়, এটা মানবকল্যাণ ও উন্নয়নের সমস্যাও। আবার বিশাল জনগোষ্ঠী মানবসম্পদ হিসেবে উন্নয়নের সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জনসংখ্যা কাউন্সিলের সভাপতি বার্নার্ড ব্যারালসান বলেছেন : উন্নত জীবনযাপনের সব উপাদান বিবেচনায় এনে যেমন- দরিদ্রতার পরিবর্তে উন্নয়ন, অজ্ঞতার পরিবর্তে শিক্ষা, অসুস্থতা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্য, নোংরা পরিবেশের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য, বর্তমান সীমাবদ্ধতার পরিবর্তে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা যদি কোনো দেশের জনসংখ্যা নীতিতে প্রবহমান থাকে এবং অনুকূলে হয় তাহলে তা মানুষের জন্য বিভিন্ন উন্নত বিকল্প ও পছন্দের ধারাকে বিস্তৃত করবে। তাই জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার পরিবর্তে নীতিনির্ধারণ নিয়ে ভাবা দরকার।

চলতি শতাব্দীতেই মুসলিম বিশ্বের বিশাল প্রাকৃতিক ও খনিজসম্পদ, অপেক্ষাকৃত সুলভ ও তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী উন্নয়নের জোয়ারে শামিল হবে। মানবতা ও বিশ্ব শান্তির এ উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশও বলিষ্ঠ অবদান রাখবে বলে আশা করি। সময়ের বালুচরে আমাদের সামনে জাতি হিসেবে পদচিহ্ন রাখার একটা অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করা দরকার বলে আমার মনে হয়।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
hmct2004@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’

সকল