ছেলেদের কোচ হয়ে সাফল্য চান ডালিয়া
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৪
গত বছর এএইচএফ অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সে আসরে ভারতকে হারিয়ে তাদের এই শিরোপা জয়। সে দলের কোচ ছিলেন ডালিয়া আক্তার। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ডালিয়া এখন হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন কোচ। তাই ১০ জুলাই থেকে ভারতের জয়পুরে যে এএইচএফ অনূর্ধ্ব ১৮ পুরুষ হ্যান্ডবল অনুষ্ঠিত হবে সেই পুরুষ দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডালিয়াকে। ফলে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পুরুষ হ্যান্ডবল দলের কোচ একজন মহিলা, যা একটি রেকর্ড। এই পুরুষ দলকে তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ডালিয়া। ক্যাপ্টেন (অব:) মনসুর আলী স্টেডিয়ামে চলছে অনূর্ধ্ব-১৮ হ্যান্ডবলের প্রশিক্ষণ। এবার বাংলাদেশকে খেলতে হবে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইয়েমেনের সাথে। গতবারের সাফল্যের আলোকে এবারো ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী ডালিয়া। তার মতে, যেহেতু বয়সভিত্তিক দল, সুতরাং এখানে যেকোনো ফলই হতে পারে এবং সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী।
তবে অনূর্ধ্ব-১৮ দলের মূল সমস্যা হলো এই দলের খেলোয়াড়দের উঁচু লেভেলে খেলার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। নেই কোনা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। এটা একটা মাইনাস পয়েন্ট। জানালেন ডালিয়া। এরপরও তিনি আশাবাদী ভালো করার ব্যাপারে। এই অনূর্ধ্ব-১৮ দলে ১৪ বছর বয়সেই একজন খেলোয়াড়ও আছেন। বাকি যারা আছেন সবাই ১৮ বছরের নিচে। মহিলা হয়েও পুরুষ দলের কোচ হওয়াটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ডালিয়া। বিজেএমসির সাবেক এই খেলোয়াড়ের মতে, হ্যান্ডবল ফেডারেশনের দায়িত্বশীলরা আমাকে পুরুষ দলের কোচ হিসেবে কাজ করতে বলেছেন। আমি প্রথম বাংলাদেশের মহিলা কোচ, যিনি পুরুষ দলের দায়িত্বে। ডালিয়া জানান, যেহেতু বয়সভিত্তিক দল, তাই এদের কাছে এত তাড়াতাড়ি ভালো রেজাল্ট আশা করাটা ঠিক হবে না। তবে অঘটন ঘটানোর সম্ভাবনা আছে। অঘটন ঘটলেও ঘটতে পারে। ডালিয়া পাশাপাশি ফুটবলেও কোচিং কোর্স করেছেন। তবে তিনি জানান তাকে ফুটবলে কোচিং কোর্স করতে সেভাবে সহায়তা করা হয়নি। এই সহায়তা তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে পাননি। তাকে একপ্রকার দাবিয়ে রাখা হয়েছে। এখন তিনি হ্যান্ডবল কোচিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান।
জাতীয় দলে তিনি এই প্রথম কোচ হলেও ক্লাব লেভেলে তিনি পুরুষ দলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন সেই ২০১৭ সাল থেকে। তিনি এবং কামরুল ইসলাম কিরণ মিলে একটি হ্যান্ডবল ক্লাব চালান। যেখানে ঢাকার ছেলেদের হ্যান্ডবল শেখানো হয়। এ ছাড়া প্রিমিয়ার ডিভিশন, ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশনের তিনি পুরুষ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন পার্থক্য শুধু এটাই, এবার তিনি পুরুষ জাতীয় দলের মহিলা কোচ। যেহেতু ক্লাব লেভেল থেকেই পুরুষদের কোচিং করার অভিজ্ঞতা আছেই তাই কোনো সমস্যা নেই জাতীয় দলে।
জয়পুরে অনুষ্ঠিতব্য এএইচএফ হ্যান্ডবলে বাংলাদেশের আরেকটি দল অংশ নেবে। সেটি হল অনূর্ধ্ব-২০ পুরুষ দল। সে দলের কোচ অবশ্য একজন পুরুষ। উল্লেখ্য, এক বছর পর পর ছেলে ও মেয়েদের দু’টি করে বিভাগের এএইচএফ কাপ অনুষ্ঠিত হয়। মেয়েদের ক্যাটাগরি হলো অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব -১৯। আর পুরুষদের ক্যাটাগরি অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-২০ বয়স শ্রেণী। দুই বাংলাদেশ দলই ৯ জুলাই ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা