১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিপিএলে কি খেলবে চট্টগ্রাম আবাহনী

-

খেলব না খেলব না করেও গত সিজনে শেষ পর্যন্ত বিপিএলে দল গড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। লিগের শুরুটা ভালো না হলেও সমাপ্তিটা ভালো ছিল। হয়েছে সপ্তম। এখন চলছে নতুন সিজনের দলবদল। এরই মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলবে না চট্টগ্রামের একমাত্র দলটি। এ গুজবের ডালপালা বিস্তুারে সহায়তা করেছে এবারের অনূর্ধ্ব-১৮ চট্টগ্রাম আবাহনী দল না গড়ায়। এ জন্য অবশ্য কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা আর্থিক দণ্ড গুনতে হবে তাদের। তবে বিপিএলে খেলবে না চট্টগ্রাম আবাহনী এমন ইঙ্গিত কিন্তু দিলেন না দলের ম্যানেজার আরমান আজিজ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। জাতীয় দলের সাবেক এই মিডফিল্ডার জানান, আমার কাছে চট্টগ্রাম আবাহনীর না খেলার কোনো তথ্য নেই।

চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। তার দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ঘরোয়া ফুটবলের সব লিগ থেকেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত সিজনে তারা বিপিএল থেকে সরে যায়। আর এবার সিনিয়র ডিভিশন লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে বাফুফেতে চিঠি দেয়। এই সাইফ স্পোর্টিংয়ের চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। আবার চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলেরও সব কিছু তিনি। তাই সাইফ স্পোর্টিংয়ের ফুটবল থেকে সরে যাওয়া এবং অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলে চট্টগ্রাম আবাহনীর না খেলাটাই সব সন্দেহের মূলে। তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ জানান, তরফদার সাহেব কিন্তু একটি বারের জন্যও বলেননি চট্টগ্রাম আবাহনী যে এবারের বিপিএলে খেলবে না। খবর ছড়িয়ে পড়ে, উনি নাকি বলেছেন দলের না খেলার কথা। তবে ওনার সাথে আমার কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। ওনার বক্তব্য, যদি নাই খেলি তাহলে তো চিঠি দেয়া হবে বাফুফেতে। সেই চিঠি তো দেয়া হয়নি। যেমনটি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ক্ষেত্রে হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর অনূর্ধ্ব-১৮ পরিচালিত হয় ভিন্ন ম্যানেজমেন্ট। তা সরাসরি দেখেন ক্লাবের মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরী। শুধু ম্যানেজার হিসেবে আরমান আজিজের নাম ব্যবহার করা হয়। তথ্য দিলেন আরমান আজিজ। এবার কেন অনূর্ধ্ব-১৮ দল নেই সে বিষয়ে অবগত নন আরমান আজিজ।

এ দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর এক কর্মকতা জানান, এই চট্টগ্রাম আবাহনীর নাম ব্যবহার করে এবং শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবল আয়োজন করে যে যা পাওয়ার পেয়ে গেছেন। পদপদবি, সংসদ সদস্য পদ সবই। এখন আর পাওয়ার কিছুই নেই। ভবিষ্যতে এমপি হওয়ারও সুযোগ কম। তাই এক পক্ষের এই বিপিএলে খেলা নিয়ে চরম অনীহা। আর তরফদার রুহুল আমিন এই ফুটবলের পেছনে ২০১৬ সাল থেকে সময় নিয়ে ব্যবসায়িকভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই তিনিও আর পারছেন না দলটি টানতে। তাই চট্টগ্রাম আবাহনীর এই দুরবস্থা। গতবার শেষ সময়ে কোনোমতে নামমাত্র পারিশ্রমিকে জাতীয় দলের নিকটাতীতে বাদ পড়াদের নিয়ে দল গঠন। আর এবার দল গঠন নিয়েই চরম অনিশ্চতা।
তবে ফুটবলপ্রেমীদের দাবি বিপিএল ও বিসিএল থেকে চট্টগ্রাম মোহামেডান হারিয়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম আবাহনী যেন আর না হারায়। এই দলটি হারিয়ে গেলে বন্দরনগরীর আর কোনো প্রতিনিধিই থাকবে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। আর ফুটবলাররাও বঞ্চিত হবে প্রতিষ্ঠিত একটি ক্লাবে খেলা থেকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement