সেই সেন্ট ভিনসেন্টে উজ্জ্বল সাকিব
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ব্যাটে ও বলে দুঃসময় চলতে থাকলে কত জনের কত সুরেই না কথা বলা। ক্রিকেট ঠিক মতো বুঝে না এমন ব্যক্তিও তখন গলা চড়া করে। এর চাপ কিন্তু ক্রিকেটারটির উপর পড়ে। সেই চাপই বড় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সামলে নিলেন সাকিব আল হাসান। চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাসেনি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের। স্কোর ছিল ৮ ও ৩। এতে অন্য বিজ্ঞদের মতো ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগও তীর ছুড়ছেন সাকিবের দিকে। সাকিরের লজ্জা হওয়া উচিত এমন মন্তব্য করে তাকে অবসরে যাওয়ার পরামর্শও দেন ভারতের এই প্রাক্তন ওপেনার। সাকিব অবশ্য ফর্মে ফিরে সেই জবাব দিতে মোটেই সময় নেননি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই পেলেন রান। পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে জ্বলে উঠল তার ব্যাট। এই অলরাউন্ডারের ফিফটির উপর ভর করে বাংলাদেশের যে পুঁজি সেটাকে যথেষ্ট প্রমাণ করলেন রিশাদ, তাসকিন ও মোস্তাফিজরা। টাইগারদের ১৫৯/৫ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে নেদারল্যান্ডস। ফলে ২৫ রানের জয় নিয়ে টাইগাররা এখন কড়া নাড়ছে সুপার এইটে।
বল হাতে কোনো উইকেট না মিললেও ব্যাট হাতে করেছেন ৪৬ বলে ৬৪ রান। কোনো ছক্কা মারতে পারেননি সাকিব। তবে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৯টি। বোলিং করে চার ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান। সেন্ট ভিনসেন্টের যে মাঠে সাকিবের এই ১৯ ম্যাচ পর টি-২০তে ফিফটির দেখা সেই মাঠেই তার নতুন শুরুর গল্প। ২০০৯ সালে এই ক্যারিবীয় দ্বীপ রাষ্ট্র্রে টেস্ট ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই টেস্টে অধিনায়ক মাশরাফির ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যাওয়া। এরপর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন বছর কাটানো সাকিব পেলেন নেতৃত্ব। বাকিটা জয়ের সুখ স্মৃতি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয় তার নেতৃত্বে। টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক আগেও বহুবার বলেছিলেন তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে সব সময়ই ভালো খেলেন। ২০০৭ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের স্মরণীয় বিশ্বকাপের অন্যতম সদস্যও ছিলেন সাকিব।
টি-২০তে সাম্প্রতিক বাজে ফর্ম নিয়েই শেওয়াগ অবসরে যাওয়ার পরামর্শ দেন সাকিকবে। ডাচদের বিপক্ষে এই রান কি শেওয়াগকে দেয়া পাল্টা জবাব? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কাউকে উত্তর দেয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমার মনে হয়, ক্রিকেট খেলায় ব্যাটসম্যানদের কাজ ব্যাটিং করা, রান করা। বোলারদের কাজ উইকেট নেয়া। ফিল্ডারদের কাজ ভালো ফিল্ডিং করা, ক্যাচ নেয়া।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, আমি যেভাবে দলে অবদান রাখতে পেরেছি তাতে খুশি। তবে মোটেই সহজ উইকেট নন এটি। তবে আমরা আমাদের স্নায়ু ঠিক রাখতে পেরেছি। পুরো ম্যাচেই স্বাভাবিক ছিলাম সবাই।’ ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেয়া সাকিব বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে টপ চার ব্যাটরের যে কোনো একজনকে পুরো ইনিংস খেলতে হয়। জানালেন, যে মাঠে খেলেছি তাতে গত চার-পাঁচ বছরে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই হয়নি। ফলে আমাদের ধারনা নেই এই মাঠে স্কোর কত হলে তা নির্ভরযোগ্য হয়। এর পরও বলব না আমাদের করা ১৫৯ রানটা যথেষ্ট ছিল। টি-২০ ক্রিকেটে এই স্কোর চেজ করে হরহামেশাই জেতার ঘটনা ঘটছে। আমরা মূলত উইকেট হাতে রেখে খেলেছি যাতে ১৪-১৫ ওভার পর বুঝা যায় কত দূর যায় স্কোর। এরপর বাকিটা এগিয়ে নেয়ার মিশন।’ নেদালল্যান্ডসের ইনিংস সম্পর্কে বলেন, তারা তিন উইকেটে ৯০ রান করে ভালোই জবাব দিচ্ছিল। তাদেরকে আটকানোটা সহজ ছিল না। এরপরও পুরো কৃতিত্ব আমাদের বোলারদের। তারাই ম্যাচটা জিতিয়েছে কঠিন পরিস্থিতিতে নার্ভ শক্ত রেখে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা