১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাবরের মতে পাকিস্তানের হারের কারণ

হারের পর ক্রন্দনরত নাসিম শাহকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন শাহীন আফ্রিদি : ক্রিকইনফো -


চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে নাগালেও পেয়েও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। ভারতের ১১৯ রান তাড়ায় পাকিস্তানের শেষ ৬ ওভারে দরকার ছিল ৪০ রান, হাতে ছিল সাত উইকেট। আর এই ম্যাচটিই পাকিস্তান হেরে বসেছে ৬ রানে। যে হারে পাকিস্তানের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এর আগে তাদের দৃষ্টিকটু হার ছিল যুক্তরাষ্ট্র্রের কাছে।

এই অবিশ্বাস্য হারের কারণ জানালেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তার মতে, ‘পাওয়ার প্লের ব্যাটিং, লাগাতার ডট বল আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন দলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে।’
১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল দুই উইকেটে ৭২। তখন মনে হচ্ছিল সহজেই জিতে যাবে পাকিস্তান। তবে ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ফখর জামান আউট হওয়ার পর ছন্দ পতন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারে আসে মাত্র ১ রান। ১৪ থেকে ১৯ ছয় ওভারে পাকিস্তান একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি। বরং একের পর উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়েছে।
বাবরের বিশ্লেষণ, ‘আমার মনে হয় প্রথম ১০ ওভারের পর ওরা (ভারত) ভালো বোলিং করেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১২০, প্রথম দশ ওভারে বলপ্রতি রান নিয়েছি। কিন্তু এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েছি, বেশ কিছু ডট বল হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিক ব্যাটিং, ওভারে ৫-৬ রান আর মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি। কিন্তু ওই সময় আমরা অনেক ডট বল দিয়েছি। এতে চাপ বেড়েছে। আমরা দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি।’ শেষ ওভারে নামিস শাহ দু’টি বাউন্ডারি মারেন। তাতেও কাজ হয়নি। বাবরের মতে, (শেষ মুহূর্তে) টেলএন্ডারদের কাছ থেকে তো খুব বেশি আশা করা যায় না।’

পাকিস্তান অধিনায়ক শেষ ১০ ওভারের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পাওয়ার প্লের ব্যর্থতার দায়ও উল্লেখ করলেন। ‘আমরা প্রথম ছয় ওভারেও যথেষ্ট ভালো খেলিনি। লক্ষ্য ছিল ৪০-৪৫ রান তোলা। কিন্তু সেটা করতে পারিনি।’ উল্লেখ্য, তখন ক্রিজে ছিলেন বাবর ও রিজওয়ান। মনে হচ্ছিল পিচই লো স্কোকিংম্যাচের জন্য দায়ী। তবে এদে দ্বিমত বাবরের। জানান, ‘পিচ ভালো। বল ভালোভাবেই ব্যাটে আসছিল। কিছুটা মন্থর ছিল। কিছু বল বাড়তি বাউন্সও হচ্ছিল। কিন্তু এ ধরনের ড্রপ-ইন পিচে এমনটা হতেই পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের কাছে হারায় পাকিস্তানের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ, ওই দুই দলেরই দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট করে আছে। পাকিস্তান শেষ দুই ম্যাচে জিতলেই সুপার এইটে উঠবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ম্যাচেও। বাবর আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে, ‘এখন শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হবে। আমরা বসে ভুলগুলো নিয়ে কথা বলব। দেখা যাক, শেষ দুই ম্যাচে কী হয়।’
পাকিস্তানের পরের ম্যাচ ১১ জুন কানাডার বিপক্ষে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ ১৬ জুন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ সিরিয়া থেকে আরো রুশ সেনা প্রত্যাহার পূর্ব সুদানের বেশিভাগ বাস্তুচ্যুত পরিবার খাদ্যাভাবে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ‘শূন্য পাঁচ’ কর্মসূচি ঘোষণা সিরিয়া যাচ্ছেন কাতারের প্রতিনিধিদল ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক : মিয়া গোলাম পরওয়ার ‘উৎপাদনের জন্য কৃষি পণ্য ও উপকরণ সহজলভ্য এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে’ পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের লাশ! আপনাকে ধরে এনে বিচার করা হবে : মোবারক হোসেন কালীগঞ্জে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যাবো : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল