১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পাকিস্তানকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস

-

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে গত ৫ জুন ওমানের অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস বলেছিলেন, ‘একবার মাঠে নামলে বড় বলতে কেউ নয়। মাঠে আপনার চেয়ে বড় কেউ নেই।’ টি-২০তে আসলে মাঠে নামার পর বড় বলে কোনো দল নেই, ওমানের অধিনায়ক সেদিনের সেই কথার প্রমাণ মাঠে না দিতে পারলেও তা করে দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান। সহযোগী দেশই নয়, টি-২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির বিপক্ষে চলতি আসরের ১১তম ম্যাচে এসে পাকিস্তান হারেনি, জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ডালাসে গত পরশু টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র, ম্যাচের শেষ ওভারে তখনো প্রয়োজন ১৫ রান। বোলার ছিলেন হারিস রউফ। প্রথম ৩ বলে দেন ৩ রান। এর মধ্যে অ্যারন জোন্সের ক্যাচ ফেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। জিততে হলে বাকি ৩ বলে প্রয়োজন ১২। চতুর্থ বল ফুল টস পেয়ে ছক্কা মারেন জোন্স। পঞ্চম বলে আসে ১ রান। শেষ বলে ফুল টসে মিড অফ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে চার নিতিশ কুমারের। নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানেই থামে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে বল তুলে দেয়া হয় মোহাম্মদ আমিরের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রকে থামাতে পারলেন না তিনি। তার বলে একটির বেশি বাউন্ডারি মারতে পারেননি অ্যারন জোন্স-হারমিত সিং। কিন্তু এলোমেলো বোলিংয়ে ১৮ রান করে ফেলে তারা। সেটি তাড়ায় ১ উইকেট ১৩ রানের বেশি নিতে পারেনি পাকিস্তান। ৫ রানে ম্যাচ হেরে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে এসে বোলারদেরই পুরো দায় দিলেন অধিনায়ক বাবর আজম।

‘দিনের প্রথম ৬ ওভারে উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছে বোলাররা। এরপর আমার মনে হয়নি এটি ভিন্ন উইকেট। সকালের দিকে পিচে কিছুটা আর্দ্রতা ছিল। তারা এটি কাজে লাগিয়েছে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।’
‘দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেট থেকে আমরাও সাহায্য পেয়েছি। কিন্তু বোলিংয়ের দিক থেকে প্রথম ১০ ওভারে আমাদের ঘাটতি ছিল। এরপর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের যে মানের বোলার আছে, এই সংগ্রহ ডিফেন্ড করা উচিত ছিল। এই পিচে আমাদের বোলিংয়ের জন্য এটি জেতার মতো স্কোর ছিল। কিন্তু সুপার ওভারে যেভাবে ম্যাচ শেষ করেছে, অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।’
১৬০ রানের লক্ষ্যে ১৩ ওভারে এক শ’ পেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ৫০ করা মোনাঙ্ক আউট হলে তখনো জয় থেকে ৪৯ রান দূরে যুক্তরাষ্ট্র। বল বাকি ৩৫টি। নিতিশ কুমার ও অ্যারন জোন্স মিলে করতে পারেন ৪৮ রান। পরে সুপার ওভার জিতলেও ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল আক্ষেপ সুপার ওভারে নয়, মূল ম্যাচেই জেতা উচিত ছিল।
‘আমি আউট হওয়ার পরও ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমার মতে, আমাদের ম্যাচটি শেষ করা উচিত ছিল ও কোনোভাবেই সুপার ওভারে যাওয়া উচিত হয়নি। তবে আমরা যেভাবে স্নায়ুর চাপ সামলেছি, বিশেষ করে সুপার ওভারে ১৮ রান নেয়া আমাদেরকে আরো এগিয়ে দিয়েছে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার জামায়াত নেতা কাজী ফজলুল করিমের মৃত্যুতে ড. রেজাউল করিমের শোক প্রকাশ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না আমতলীতে ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িতদের বিচার দাবি সিরিয়া নিয়ে আশা ও শঙ্কা ইসরাইলের সিরিয়ায় বাশারের পতনে ইসরাইল কতটুকু লাভবান অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ৫৭৯ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত ৫ এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন এখন সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার : অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

সকল