১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা রিয়ালের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা রিয়ালের -


চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের শুরু থেকেই একের পর এক বাধা টপকে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আরবি লিপজিগকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির। শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচে পেপ গার্দিওলার দলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে লস ব্লাঙ্কোসরা উঠে আসে সেমিফাইনালে। সেখানে দেখা জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের। দুই লেগ মিলে ৪-৩ এগ্রিগেটে বাভারিয়ানদের পেছনে ফেলে আরেক জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি ফাইনালে। কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা বুরুশিয়ার সামনে প্রথমার্ধে ছিল বিবর্ণ রিয়াল। কার্লো অ্যানচেলোত্তির দল চেনা চেহারায় ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রতিকূলতার স্রোত ডিঙিয়ে দানি কারভাহালের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে ১৫তম বারের মতো ইউরোপীয় শিরোপা জয় করে রিয়াল মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যে রিয়াল মাদ্রিদ কতটা ভয়ঙ্কর, গত পরশু ফাইনালে প্রথমার্ধে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দাপুটে ভেসে যাওয়ার অবস্থা হলেও বরাবরের মতো আরো একবার বিরতির পর দৃশ্যপট পাল্টে প্রমাণ দিলো রিয়াল। ১০ মিনিটের ঝড়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডটিকে আরো সমৃদ্ধ করল তারা।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরুটা রিয়ালের জন্য ছিল বেশ ভীতিজাগানিয়া। প্রথমার্ধে বল দখলে অনেক পিছিয়ে থাকলেও দুর্দান্ত সব আক্রমণে প্রতিপক্ষ শিবিরে কাঁপন ধরায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু বিরতির পর সেই চাপ আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে মুহুর্মুহু আক্রমণ রুখতে ব্যতিব্যস্ত রিয়াল গোলরক্ষক কর্তোয়ার নৈপুণ্যে ২৮ মিনিটে রক্ষা পায়। ৪১ মিনিটে মার্সেল সাবিৎজারের নিচু শটও ঝাঁপিয়ে ফেরান বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক। কোণঠাসা রিয়াল বল পায়ে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ছিল একেবারেই বিবর্ণ। প্রথমার্ধে গোলের জন্য দু’টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট রিয়ালের। ডি-বক্সের বাঁ কোণা থেকে টনি ক্রুসের ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক।

অবশেষে ডেডলক ভাঙে রিয়াল ম্যাচের ৭৪ মিনিটে। বার্নাব্যুর দলটির জার্সিতে শেষবারেরর মতো মাঠে নামা ক্রুস ও অভিজ্ঞ কারভাহালের অবদানে এগিয়ে যায় রিয়াল। জার্মান গ্রেটের কর্নারে দুর্দান্ত কোনাকুনি হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কারভাহালের এটি দ্বিতীয় গোল। প্রথমটি ছিল ২০১৫-১৬। ৮৩ মিনিটে আরো একবার পরাস্ত বরুশিয়ার গোলরক্ষক কোবেল। অবশ্য এর দায় মোটেও তার নয়। নিজেদের সীমানায় খুব বাজে ভুল করে বসেন ডিফেন্ডার ইয়ান মাটসেন। তার ভুল পাস ধরে বেলিংহ্যাম বক্সে ফাঁকায় খুঁজে নেন ভিনিসিয়াসকে। এমন উপহার পেয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিখুঁত শটে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন। বাকি সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আর তেমন কোনো সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি এডিন তেরজিচের দল। এবারো পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল জার্মান ক্লাবটি।

 


আরো সংবাদ



premium cement