১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তিনটি রানার্সআপ ট্রফিও বড় প্রাপ্তি

-

একে একে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোহামেডানের ফুটবলাররা। সবারই মুখে হাসি। ১০ হাজার টাকা করে যে বোনাস পেয়েছেন। এটি গতকাল দুপুরে ক্লাব ভবনের দৃশ্য। এই খুশির আবহের পেছনে আছে পরশু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে বিপিএলে রানার্সআপ হওয়ার। এবারের সিজনে তিন আসর ও টুর্নামেন্টের রানার্সআপ তারা। ফলে দলের ৯০ শতাংশ পুরনো ফুটবলারকেই রেখে দিচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। জানান ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব। এই মুহূর্তে দেশের সেরা কোচ আলফাজ আহমেদ। দলের তিন রানার্সআপ ট্রফিতে তিনি খুশি। তবে মৌসুমে অন্তত একটি শিরোপা জেতা উচিত ছিল মোহামেডানের, জানান আলফাজ।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক গত বছর ফিরতি লিগ থেকে মোহামেডানের দায়িত্বে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেনের ৫ নম্বরে রেখে যাওয়া দল এবার লিগে রানার্সআপ হয়েছে আলফাজের কোচিংয়ে। তার মতে, ‘এবার আমাদের দু’টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। আসলে চ্যাম্পিয়ন হতে ভাগ্যও লাগে। আমার খুবই কষ্ট লেগেছে ফেডারেশন কাপটা ধরে রাখতে না পেরে। ৮৭ মিনিটে গোল খেয়ে ফেডারেশন কাপটা হারিয়েছি। আসলে সেই ম্যাচে রেফারিং ভালো হয়নি। আমার মনে হয় বাংলাদেশের রেফারিদের মানটা ভালো হলেও তারা মাঠে স্বাধীন না।’
এরপরও মোহামেডান কোচের মনে সন্তুষ্টি এবার তিন আসরেই দলকে দ্বিতীয় স্থানে রাখতে পেরে। জানান, ‘সবগুলো আসরেই রানার্সআপ। এটা বড় একটা সাফল্য। যদিও মোহামেডানের ঐতিহ্য অনুযায়ী এটা বেমানান। এর পরও সময় ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এটা বড় পাওয়া। এখন চ্যাম্পিয়নের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারছি- এটাও কম নয়। আগামীতে চ্যাম্পিয়নের জন্য লড়তে পারব, সেই মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এ জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’ ১৯৯৯ এর সাফ গেমস এবং ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের এই সদস্য উল্লেখ করলেন, বসুন্ধরা কিংসের সাথে মোহামেডানের বাজেটের তুলনা করলে বুঝবেন মোহামেডান কতটা পিছিয়ে। এর পরও আমরাই লিগে হারিয়েছি তাদের। অন্যরা কিন্তু সেভাবে পারেনি বসুন্ধরার সাথে।’
সাদাকালো শিবির ভালো খেলে আসছে গত কয়েক বছর ধরেই। এর পরও জাতীয় দলে দর্শকপ্রিয় দলটির প্রতিনিধিত্ব কমই থাকে। আলফাজের মতে, এবার মোহামেডানের চারজন জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। যদিও বাল্লু এবং আরিফের ডাক পাওয়া উচিত ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement