১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা উচিত

-

চতুর্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি বেশি থাকে। কাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েনের (বিওএ) অডিটোরিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কারণ এই সংবাদ সম্মেলনে যে এসেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সংসদের হুইপ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। মিডিয়াসহ সবারই প্রত্যাশা ছিল আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ ঘিরে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং ক্রিকেটার মাশরাফির বক্তব্য নেয়া। সেই উত্তর দিলেন তিনি। তার মতে, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জেতা উচিত দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। একবার দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে জিতে এসেছি। এখন তাদের সাথে হারের চিন্তা করলে বিশ্বকাপ কঠিন হয়ে যাবে। জানান, আপনারা যেমন আশা করেন আমিও তাই। আমিও চাইব বাংলাদেশ যেন ভালো করে এবারের বিশ্বকাপে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবে। এই প্রশ্নের জবাবে মাশরাফির উত্তর, ‘কতদূর যেতে পারবে তা বলতে পারছি না। আশা তো করি ভালো কিছু করবে। অবশ্যই আমি চাইব বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসুক। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তবতাও ভাবতে হবে।’ তার মতে, কেমন খেলছে ওখানে। কন্ডিশন কেমন, দল কেমন পারফরর্ম করছে সেগুলোও বিষয়। সব কিছু মিলে যদি প্রথম রাউন্ড পার হতে পারে তাহলে সুপার এইট। তাই যদি প্রথম রাউন্ড পার করা যায় তাহলে একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে। আগাম কিছু বলা যাবে না।’
বাংলাদেশ দলের পুরো স্কোয়াড নিয়ে চুলচেরা কোনো বিশ্লেষণেই গেলেন তা তিনি। বরং কৌশলে এড়িয়েই গেছেন। এরপর বললেন চরম বাস্তবতার কথা। ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চেয়ে অলিম্পিক গেমস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অলিম্পিকে একটি পদক জিতলে তা সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলবে। জানান অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এতে অতো সাড়া পরেনি। আমাদের বাংলাদেশের বিবেচনায় বিশ্বকাপ অনেক বড় কিছু। তবে বাস্তবে অলিম্পিক গেমস সবচেয়ে বড়।’
নাজমুল হোসেন শান্তদের কাছে চাওয়া কি এর জবাবে সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যা চায় তা যে কোনো পরিস্থিতিতে আমিও এর বাইরে না। আমার সবাই চাই বাংলাদেশ দল সেখানে ভালো করুক।’ এরপর যোগ করেন দলেলর কমন কয়েকজন সম্পর্কে জানি। বাকি দল সম্পর্কে জানি না।
এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যে পরিমান স্পন্সর আছে অন্য ফেডারেশনে তা নেই। ’ যোগ করেন, যেখানে বিনিয়োগ বেশি সেখানে তৃণমূল থেকে বেশি মাত্রায় খেলোয়াড় উঠে আসে। এই বিনিয়োগের জন্য ফোকাস থাকতে হবে। এ জন্য ভূমিকা রাখতে হবে মিডিয়াকেও। মিডিয়া যত বেশি ফোকাস করবে তত বেশি বিনিয়োগ আসবে। অন্যান্য স্থানে এই দুর্বলতা আছে বলেই খেলোয়াড় উঠে আসে না।
তার মতে, বিভিন্ন ফেডারেশনে ঠিক মতো বিনিয়োগ হলে সেখানে খেলোয়াড়রা তৈরি হবেই। উদাহরণ টেনে মাশরাফি জানান, এই যে দেখুন কাবাডির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ৫ থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। খেলোয়াড়দের যতœ নিলে তারা ভালো করবে। যতœ বলতে তার ট্রেনিং সুুবিধা বাড়ানো, ইনজুরি হলে তা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করা, পরিবার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারা। এই সুযোগ-সুবিধা পেলেই দেখবেন খেলোয়াড়দের আগ্রহ বাড়বে। উল্লেখ করলেন, আজ যারা কাবাডি খেলছে বা অন্য খেলা। তারা যখন দেখবে টপ লেভেলে খেললে একটি সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে তখন তারা খেলাধুলায় আসবে। এসব কারণেই এই খেলা গুলো বেঁচে আছে। তাদের সরকারি চাকরি বন্ধ হয়ে গেলে এই খেলাগুলোও মরে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement