শেষ ম্যাচেই কি সর্বনাশ সাইফউদ্দিনের
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ১৫ মে ২০২৪, ০০:০৫
ইনজুরির জন্য দেড় বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা। সেই অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে ফের ডাকা হয় এবারের সদ্যসমাপ্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়া এই পেস বোলার অলরাউন্ডার হয়তো ভেবেই নিয়েছিলেন এবারের যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-২০ বিশ্বকাপেও থাকবেন দলে। নিজের ভাণ্ডারে যোগ হবে তিন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। তবে গতকাল গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আবদুর রাজ্জাক এবং হান্নান সরকারের নির্বাচক প্যানেলের ঘোষণায় বড় চমক এই সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবার ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েও নির্বাচকদের মন গলাতে পারেননি ফেনীর এই ক্রিকেটার। বরং তার জায়গায় নেয়া হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে ১ উইকেট নেয়া তানজিম হাসান সাকিবকে। রিজার্ভ তালিকায় বোলার হাসান মাহমুদ থাকলেও সেখানে নেই সাইফউদ্দিন। ফলে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৯ চারে ফিফটি করা এই ক্রিকেটার আগামী মাসের বিশ্বকাপে থাকবেন দর্শকের ভূমিকায়। রাজ্যের হতাশা নিয়েই দেশে বসে টিভি পর্দায় দেখতে হবে টাইগারদের পারফরম্যান্স।
তার নাম আইসিসিতে আগেই পাঠিয়েছিল বিসিবি। শেষ মুহূর্তের কাঁচি চালনায় বাদ পড়লেন তিনি। সর্বশেষ বিপিএলে সাইফউদ্দিন ১৫ উইকেট নিলেও তানজিম সাকিবের শিকার ১১ উইকেট। সাইফউদ্দিন বিষয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বক্তব্য, সবাই খুব কাছাকাছি লড়াই করেছে। ৩০ এপ্রিল যে দলটি দিয়েছিলাম সেটির প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। সেখানে দু’টি বিষয় ছিল। এক বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল গড়া। সেই সাথে ইনজুরি থেকে ফেরা যেমন সাইফউদ্দিনকে দেখা। আমাদের যে আস্থার জায়গা সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম সাকিব এগিয়ে। তাই তাকে নিয়েছি।’
স্লগ বা ডেথ ওভারে সাইফউদ্দিনের চেয়ে এগিয়ে তানজিম। সেই ইঙ্গিতও মিলল লিপুর মুখে। ‘একাগ্রতা ও মাঠে নিজেকে নিংড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সাইফউদ্দিনের চেয়ে এগিয়ে সাকিব। এ ছাড়া যে ইয়র্কার ঘরোয়া আসরে দিয়ে থাকে সাইফউদ্দিন আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেটি সেভাবে করতে পারেনি।’ লিপু আরো যোগ করেন, ‘শেষ দুই ম্যাচে দুই পেসার নিয়ে খেলেছি। সেখানে সাইফউদ্দিন কিছু কিছু জায়গার আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।’
বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও কোচের এই যুক্তির সত্যতাও আছে। মিরপুরে অনুষ্ঠিত শেষ টি-২০তে সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন। তার করা ১৮তম ওভারে আসে ১৯ রান। এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট পেলেও সেদিন সাইফউদ্দিনের ৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা তুলে নেন ৪২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে তার ৩৭ রানে পান ১ উইকেট। শুধু প্রথম ম্যাচে ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর। ৪ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট। পঞ্চম টি-২০তে বেশি রান দিয়েই মূলত সর্বনাশটা করেছেন এ পেস-অলরাউন্ডার। চতুর্থ ম্যাচ তিনি খেলেননি।
অবশ্য তানজিম সাকিবও ছিলেন ব্যয়বহুল। তৃতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট পেলেও চতুর্থ ম্যাচে ৪ ওভারে ৪২ রানে উইকেট শূন্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা