নারী বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গতকাল আসন্ন নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ফাইনাল হবে ২০ অক্টোবর। মোট ম্যাচ হবে ২৩। যেখানে ১২টি সিলেটে এবং ১১টি মিরপুর শেরেবাংলায়। ৩ অক্টোবর উদ্বোধনী দিনে দ্বিতীয় ম্যাচটি সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ খেলবে কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা দ্বিতীয় দলটির সাথে।
ঘরের মাঠে আসন্ন এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ রয়েছে বি-গ্রুপে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সাথে বাকি তিনটি দল হচ্ছে ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ছাড়া কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা দ্বিতীয় দলটিও থাকবে এই গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা প্রথম দল।
২০১৪ সালের পর ১০ বছর বিরতি দিয়ে চলতি বছর আরো একটি বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েছে বাংলাদেশ। ট্রফি উন্মোচনের আগে সেই ট্রফি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেছেন বাংলাদেশ ও ভারত নারী দলের অধিনায়ক। নিগার সুলতানা জ্যোতি ও হারমানপ্রিত কউরের সাথে ট্রফি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাৎ করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস।
দশ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ আবার নারী টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক। ২০১৪ সালে জ্যোতি ক্রিকেট শুরু করলেও জাতীয় দলের আশপাশে ছিলেন না। ১০ বছরের ব্যবধানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে। আগের পাঁচ আসরে ২১ ম্যাচে মাত্র দুই জয় বাংলাদেশের। প্রথম আসরে ঘরের মাঠে দুই জয়ের পর আর কোনো জয় নেই। তবে আশা দেখালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের একটা স্বপ্ন থাকে, নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে কিন্তু খুবই কমসংখ্যক ক্রিকেটার নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলতে পারে। যারা খেলবে তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে, বাংলাদেশের মাটিতে একটা বড় টুর্নামেন্টে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
জ্যোতি আরো বলেন, ‘রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশনও কাজ করছে। কারণ ঘরের মাঠের দর্শক থাকবে। সবাই চাইবে, আমরা যেন ভালো করি। আমরা এখন একটু কঠিন সময় পার করছি। তাই অনেক সংশয়-সন্দেহ আসতে পারে। তবু বলব যে, এই দলটা অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের হাতে যে সময়টা আছে, আরেকটু ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। সবশেষ বিশ্বকাপগুলো খেলেছি, ২০১৪ ছাড়া মনে হয় আর কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। তাই আমাদের মনোযোগ প্রথমেই থাকবে, আমরা যেন ম্যাচ জিততে পারি। সবাই যদি আমরা সেরাটা দিতে পারি, বাংলাদেশে বিশ্বকাপটা আমরা রঙিন করে রাখতে পারব। সবার সুস্থ থাকাটা জরুরি।’
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচটি ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায়। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ইংল্যান্ড। ৯ অক্টোবর বেলা ৩টায় ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। ১২ অক্টোবর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ সন্ধ্যা ৭ট্যায় খেলবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচই শেরেবাংলায় খেলবে টাইগ্রেসরা। সেমিফাইনাল দু’টি হবে ১৭ ও ১৮ অক্টোবর। প্রথমটি সিলেটে এবং পরেরটি ঢাকায়। ২০ অক্টোবর ফাইনাল। বৃষ্টির কথা বিবেচনায় দু’টি সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে রিজার্ভ ডে রেখেছে বিসিবি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচ দু’টি হবে সকাল ১০টায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা