গিনেস বুকে নাম উঠাতে চান সুমাইয়া
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
যদি এবার উত্তরা এফসির হয়ে মহিলা লিগে মাঠে নামা হয় সুমাইয়া আক্তার কণার তাহলে এটি হবে তার দ্বিতীয় মহিল লিগে খেলা। গত বছর তিনি কুমিল্লা ইউনাইটেড হয়ে মহিলা লিগে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বিকেএসপি ছাত্রী সুমাইয়া কণা এখনো সেভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনো খেলোয়াড় হতে পারেননি। তবে অন্য একটি স্কিলের কারণে তিনি মোটামুটি আলোচনা এসেছেন। আর তা হলো বলের উপর তার পায়ের অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ। যাকে বলে ফুটবলের ফ্রি স্টাইলার। বলকে দুই পায়ের উপর অনেকক্ষণ রাখতে পারেন তিনি। এরপর সেই বল মাথায় তুলে কাঁধে তুলে তিনি কিছুক্ষণ স্বাভাবিক অনুশীলন করেন। এই কৃতিত্বের মাধ্যমে গিনেসবুকে নাম উঠাতে চান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের এই ফরোয়ার্ড। এ জন্য চান সবার সহযোগিতা।
সুমাইয়া আক্তার কণার এই দক্ষতার বিষয়টি প্রথমে অবগত করেন দলের কোচ সাবেক সেনাবাহিনী সদস্য আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। তিনি জানান এই মেয়েটির বিশেষ স্কিল আছে। পায়ের দারুণ দক্ষতায় বলের উপর চমৎকার নিয়ন্ত্রণ তার। এর পরেই নিজের পায়ের দক্ষতা দেখাতে থাকেন সুমাইয়া। নেইমারের ভক্ত সুমাইয়া। বলের উপর নেইমারের সেই পায়ের কাজই বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে তাকে। সে থেকে তিনি কখনো মাঠে, কখনো ঘরে, বাড়ির ছাদে, রাস্তায় বল পায়ে রাখার চর্চা করে যাচ্ছেন। এভাবেই তিনি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। জানান, আমি প্রথমে বিষয়টি আমার ভাইয়ের উৎসাহে করতে থাকি। আমার ভাই গোলরক্ষক ছিলেন। কিন্তু ইনজুরির জন্য তিনি আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। ভাই আমাকে উৎসাহ দেন এভাবে বলের উপর পায়ের স্কিল বাড়ানোর বিষয়ে। পরে আমি নেইমারের স্কিল দেখে দেখে নিজেকে তৈরি করি। সুমাইয়া অবগত আছেন, বাংলাদেশের আব্দুল হালিম বলের উপর এই নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েই একাধিকবার গিনিস বুকে নাম উঠিয়েছেন। এখন সুমাইয়ার টার্গেট তার নামও গিনেসবুকে ঠাই করিয়ে নেয়ার।
গত মহিলা লিগে খেললেও গোল করতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। উল্লেখ্য, তিনি স্ট্রাইকিং পজিশনে পাশাপাশিও উইংপজিশনেও খেলেন। সেভাবে মাঠে নামা হয়নি। কয়েক ম্যাচে খেলেছেন। এবার তাই লক্ষ্য উত্তরা এফসির হয়ে গোল করা এবং দলকে জেতানো। বাফুফে আয়োজিত বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবলে তিনি খেলেছেন। লিগের মতো বয়সভিত্তিক ফুটবলেও সেভাবে গোল করা হয়নি। তার যা কিছু গোল আছে তার বিভিন্ন খ্যাপের টুর্নামেন্ট। এখন ফুটবল টর্চার পাশাপাশি ফ্রি স্টাইল চর্চাও চালিয়ে যাচ্ছেন। দিনে কয়েক ঘণ্টায় চলে তার অনুশীলন জানান সুমাইয়া। নিজেকে একইসাথে দুই পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এক দক্ষ একজন ফুটবলার দুই, কুশলী ফ্রি স্টাইলার।
নিজ জেলা সুনামগঞ্জে প্রথমে তিনি সেভাবে খেলা সুযোগ পেতেন না। সেখানে যে খেলার মতো পরিবেশ ছিল না। পরে তার ভাই-ই তাকে স্টেডিয়ামে নিয়ে যান। চলতে থাকে সেখানে একাকী অনুশীলন। এভাবেই তিনি আজ বাফুফের মহিলা লিগের ফুটবল হতে পেরেছেন। সেই সাথে ফ্রি স্টাইলারও। এখন দেখা যাক আবদুল হালিমের মতো সুমাইয়া নিজেকে ফ্রি স্টাইলার হিসেবে গিনেজ বুকে ঠাঁই পান কি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা