১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে জয় মোহামেডানের

-

গতকাল শুরু হয়েছে সুপার লিগের খেলা। তিন ভেনুতে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে শক্তিশালী আবহনী ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। তবে সব ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় মোহামেডান শেখ জামাল ম্যাচ। জামালের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান। মোহামেডানের পক্ষে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হাফ সেঞ্চুরিতে জয় সাদা-কালোদের।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস জিতে শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মোহামেডান। ওপেনার সাইফ হাসান এবং টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার তাইবুর রহমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বাচ্ছন্দ্যে এগোয় শেখ জামাল। আহত অবসরে মাঠ ছাড়ার আগে ১২০ রান আসে সাইফ হাসানের ব্যাটে। তাইবুর অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে তাদের রান দাঁড়ায় দুই উইকেটে ২৫৯। মোহামেডানের পক্ষে একটি উইকেট পান স্পিনার নাসুম আহমেদ।
জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের শুরুটা খুব ভালো হয়নি। ৬৯ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহামেডানের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের ১৬৯ রানের জুটিতে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় সাদাকালোরা। ১০১ রান করে অঙ্কন যখন সাজঘরের পথ ধরেন, জয় তখন মোহামেডানের হাতছোঁয়া দূরত্বে। বাকি কাজটা সারেন রিয়াদ। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় ৮৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সুপার লিগ শুরুর দিনে শেখ জামালকে পাঁচ উইকেটে হারায় মোহামেডান।
১২ ম্যাচে মোহামেডানের নবম জয় এটি। পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বর স্থান ধরে রেখেছে তারা। সমান ম্যাচে আট জয়ে চার নম্বরে শেখ জামাল।
প্রাথমিক পর্বের ১১ ম্যাচে সব মিলিয়ে ছয়টি ৫০ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন মাহিদুল। এর মধ্য পাঁচটি ছিল টানা পাঁচ ম্যাচে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৯৪ রান করলেও তিন অঙ্কের দেখা তিনি পাননি। সুপার লিগে মেটালেন সেই আক্ষেপ। ৫ চার ও ৬ ছক্কায় তিনি করেন ১০১ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মাহিদুল।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দশম সেঞ্চুরি ছুঁতে সাইফ বল খেলেন ১৩৭টি। ৪৯তম ওভারে পায়ের পেশীর টানে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। ১৪৬ বলে ১২০ রানে ইনিংসে ৭ চারের সাথে ৬টি ছক্কা মারেন ২৫ বছর বয়সী ওপেনার। চলতি লিগে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে দু’টি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে সাইফের সংগ্রহ ৫৪৪ রান। রানের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। সাইফের চেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন তাইবুর। ৫০ থেকে শতরানে যে ৩৫ বল লাগে তার। ১১২ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

 


আরো সংবাদ



premium cement