১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আজ হকির শিরোপা ফয়সালা হবে তো!

-

জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মোহামেডানের হকিতে না খেলার ঘটনা আগেও রয়েছে। ২০২১ সালে ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে জিমির নিষেধাজ্ঞার জন্য খেলেনি মোহামেডান। লিগে যদি আজ তারা অংশ না নেয় তাহলে আবাহনী ওয়াকওভার পেয়ে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট হবে। বাইলজে প্লে অফের কথা থাকলেও বিগত সময় যুগ্মচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবারো এক সপ্তাহ আগ থেকে আবাহনী- মেরিনার্সের যুগ্মচ্যাম্পিয়ন হওয়ার জোর গুঞ্জন চলছে। মোহামেডান ওয়াকওভার দিলে তাদের পরবর্তী মৌসুমে প্রথম বিভাগে খেলতে হতে পারে!
এবার ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান এককভাবে শীর্ষে। আজ আবাহনীর বিপক্ষে জিতলেই মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন। আর হারলে শিরোপা জেতার সম্ভাবনা তৈরি হবে আবাহনীর। ১৫ ম্যাচে আবাহনীর ৩৭ পয়েন্ট হবে। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ঢাকা মেরিনার্স ইয়াংসের পয়েন্ট ৩৪। আজ পুলিশের বিপক্ষে জিতলে হবে ৩৭। সবমিলিয়ে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের ওপরই মূলত নির্ভর করছে হকি লিগের শিরোপা। জিমির নিষেধাজ্ঞায় প্রশ্ন উঠেছে, শিরোপা ফয়সালা হবে তো!
লিগ না খেলার হুমকি মোহামেডানের
প্রিমিয়ার হকি লিগের শেষ ম্যাচে আজ মুখোমুখি দেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডান। নানা অভিযোগে ক্ষিপ্ত সাদা-কালো শিবির ম্যাচটি খেলবে কি না তা ২৪ ঘণ্টা আগেও জানাতে পারেনি। গতকাল হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসে মোহামেডান। মূলত লিগে অনিয়ম, নিম্নমানের আম্পায়ারিং, পক্ষপাতমূলক আচরণ, দলের তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ক্লাব কর্মকর্তার ওপর হামলার জন্য এই সম্মেলন ডাকা হয়। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেননি ক্লাব কর্তারা। বাহফের যাবতীয় অনিয়ম তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে মোহামেডান। সে উত্তর পেলেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাবের গভর্নিং বডি। সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবের পরিচালক জামাল রানা পরিচালক ও আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স, সাবেক পরিচালক সারোয়ার হোসেন, স্থায়ী সদস্য শফিকুল ইসলাম লিটু এবং হকি কমিটির সম্পাদক আবু সায়েম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লিগ কমিটি অনিয়ম করছে আর বাহফে তা প্রশ্রয় দিচ্ছে। অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। বাহফে থেকে রাসেলের নিষেধাজ্ঞার চিঠি পাওয়ার পরপরই পাল্টা চিঠি দিয়েছে মোহামেডান। লিগের বাইলজের ১৫ (ক) ধারার উদ্ধৃতি দিয়ে সিদ্ধান্ত বদলের আবেদন করেছে। বাইলজের সেই ধারায় বলা আছে, ‘দুই হলুদ কার্ডপ্রাপ্ত খেলোয়াড় সম্পর্কে ক্লাবকে অবহিত করে সমাধান করা হবে।’ মোহামেডানের দাবি, রাসেলের দুই হলুদ কার্ডের বিষয়টি জানিয়ে ক্লাবকে সতর্ক করেনি লিগ কমিটি।
জিমির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে লিগ বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছে সাদা-কালো শিবির। তবে লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের মুন্না বলেছেন, ‘প্রতি ম্যাচ শেষেই স্কোরশিটে দলীয় ম্যানেজাররা সই করেন। সেখানে কার কয়টা গোল, কে কী কার্ড পেল সব উল্লেখ থাকে। এরপর আর জানানোর বাকি থাকে কী?’
মোহামেডানের সাবেক পরিচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ মার্চ আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে একটি বৈধ গোল বাতিল, ১ এপ্রিল মেরিনার্সের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ার সেলিম লাকীর ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত, ১৬ এপ্রিল আমাদের সহকারী ম্যানেজার সোহেল রানার ওপর হামলা ইত্যাদি বিষয়ে চিঠি দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’


আরো সংবাদ



premium cement