১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চেলসির অবিশ্বাস্য জয়, শীর্ষে লিভারপুল

-


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে যোগ করা সময়ের দুই মিনিটে দুই গোল চেলসির। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় এই দুই গোল। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত মাউরিত্তি পচেত্তিনোর দলের চেয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল টেন হাগের শীর্ষরা। এরপর দুই মিনিটে কোল পালমার দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের ৪-৩ গোলে জয় নিশ্চিত করেন। এতে একটি বিরল রেকর্ডেরও মালিক হয়ে গেলেন পালমার। ফুটবল পরিসংখ্যানবিষয়ক সংস্থা অপটা জানাচ্ছে ১০০ মিনিট ৩৯ মিনিটে দেয়া গোলটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ সময়ে ম্যাচ জেতানো স্কোর। এর আগে এতো দেরীতে গোল করে কেউ দল জেতাতে পারেনি। ড্র করাতে পেরেছিল।

দিনের অন্য ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৩-১-এ হারিয়ে আবার টেবিলের শীর্ষে ফিরে এলো লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে ৮৩ শতাংশ বল পজিশনে এগিয়ে থেকে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে অল রেডরা। প্রতিপক্ষের ভুলে ম্যাচের ১৭ মিনিটে দারউইন নুনেজের গোলে ১-০তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৫৮ মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় সমতা টানে শেফিল্ড। শেষ আধা ঘণ্টায় প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দিলো না জার্গেইন ক্লপের দল। ৭৬ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের গোলে ২-১-এ এগিয়ে যাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেন কোডি গাপকো।
এই জয়ে ৩০ ম্যাচ শেষে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে আবার শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় আর্সেনাল। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবস্থান ষষ্ঠ। তাদের পয়েন্ট ৪৮। আর ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দশম অবস্থানে চেলসি।

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গত পরশু ইউনাইটেডকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি। কনর গ্যালাঘারের গোলে ৪ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পালমার। আলেজান্দ্রো গার্নাচোর গোলে ৩৪ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করে ম্যানইউ। পাঁচ মিনিট পর ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। ৬৭ মিনিটে আবার গার্নাচোর গোলে ৩-২-এ লিড পায় টেন হাগের দল। এই স্কোরলাইনে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষায় ম্যানইউ। একেবারে অন্তিম মুহূর্তে পালমারের জোড়া গোলে নাটকীয়তায় জয় চেলসির। নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ের দশম মিনিটে পালমারের গোল। এর মধ্যে পালমার যে গোলে হ্যাটট্রিক ও দলকে জয় এনে দেন, সেটিও ছিল নাটকীয়তাপূর্ণ। এনজো ফার্নান্দেজের বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন পালমার যে শট নেন, সেটি স্কটিশ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটোমিনাইয়ের গায়ে লেগে জালে জড়ালে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি।
এতে দলটির সাতে উঠার চান্স তৈরি হয়েছে। এ জন্য পরের ম্যাচ জিততে হবে। তাহলে ইউরোপা লিগ বা কনফারেন্স লিগে খেলার লড়াইয়ে থাকবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement