বিজয়ের সেঞ্চুরি অপুর ৫ উইকেট
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক ঘটনাবহুল দিনই ছিল গতকাল। আলাদা আলাদা ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আবাহনী, মোহামেডান। ওদিকে প্রাইম ব্যাংক ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ম্যাচে আগ্রহটা ছিল একটু আলাদা। তামিম ইকবাল আর মাশরাফি বিন মুর্তজার লড়াই ছিল গতকাল। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন তামিমই। তাতে তার দল প্রাইম ব্যাংক তুলে নিয়েছে নিজেদের পঞ্চম জয়। ওদিকে আবাহনী আর মোহামেডানও নিজ নিজ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। তবে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে মোহামেডানের ম্যাচ। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারাতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত।
আবাহনী-গাজী গ্রুপ
সবচেয়ে সহজ জয়টা পেয়েছে আবাহনী। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ শুরুতে বোলিং করে তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিন ও তানভির ইসলামের তোপে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ২০৪ রানে অলআউট করে আবাহনী। জবাবে ৪৮ রানে নাঈম শেখকে হারানোর পর এনামুল ও জাকের আলী অনিক মিলে গড়েন ১২২ রানের জুটি। এই জুটিতেই জয়ের পথটা তৈরি হয়ে যায়। জাকের ৫৮ রান করে আউট হলেও এনামুল সেঞ্চুরির দেখা পান। পরবর্তীতে চার নম্বরে নেমে তানজিদ হাসান তামিম রান করে আউট হয়েছেন। সাইফউদ্দিন ১৮ ও এনামুল ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১৮ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এনামুল। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আকাশি-নীল শিবির।
তামিম-মাশরাফি
তাদের দ্বৈরথ আলোচনায় ছিল বটে, কিন্তু ম্যাচে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না। বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে নাজমুল হোসেন অপুর বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি রূপগঞ্জের ব্যাটিং লাইনআপ। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ করেন শহিদুল ইসলাম। দল অলআউট হয় ১৬৫ রান তুলে। ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন অপু। জবাবে তামিমের প্রাইম ব্যাংক নামে তামিমকে ছাড়াই। তার জায়গায় ওপেন করতে নামা শেখ মাহেদি করেন ১৬ রান। এর পর তিনে নেমে তামিম করেন ৩৫। এর পর থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় সবাই শুরু করেছিলেন ভালো, তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষমেশ ৫ উইকেট হারালেও ১৬৬ রানের লক্ষ্য প্রাইম ব্যাংক টপকে যায় ৩৫তম ওভারেই।
লো স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডানের জয়
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম ভক্তরা দেখেছে এক লো স্কোরিং থ্রিলার। শুরুতে ব্যাট করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৭০ রান (টানা পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি) আর শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ৪৫ রানে ভর করে মোহামেডান করতে পারে ২০০ রান। ২০১ রানের জবাবে খেলতে নেমে শেখ জামাল নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। সাকিববিহীন দলটির এক সাইফ হাসান ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেনি। একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ বল পর্যন্ত টিকে থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি সাইফ। ১২০ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষের দিকে জিয়াউর রহমানের ৩৯ রানে জয়ের আশা দেখছিল শেখ জামাল। কিন্তু সেটা আক্ষেপ হয়ে থাকে ৫ রানের। মোহামেডান তুলে নেয় নিজেদের ষষ্ঠ জয়। ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো সাদাকালো শিবির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা