দল না জিতলে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য গুরুত্বহীন
- জসিম উদ্দিন রানা
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
অধিনায়ক হিসেবে গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে খোলামেলা অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেন লিটন দাস। দল না জিতলে ব্যক্তিগত পারফরমেন্স তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ করে লিটন জানান, ‘আপনি পাঁচ উইকেট নিতে পারেন বা সেঞ্চুরি করতে পারেন; কিন্তু ম্যাচ হেরে গেলে এমন পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তিনি যোগ করেন, ‘দেশের জন্য দলের হয়ে সিরিজ জয় করার চেয়ে বড় কিছু নেই। সিরিজ জয়ের জন্যই আমরা লড়াই করব। আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে চাই।’
মিডিয়ার সমালোচনা প্রভাব ফেলে না
২০২২ সালে বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণে ৪২ ম্যাচে ৪০.০২ গড়ে করেছিলেন এক হাজার ৯২১ রান লিটনের। তবে বিশ্বকাপের বছরে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ঘরোয়া কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও ব্যর্থ তিনি। এ বছর ১৫ ওয়ানডেতে ২৫.৫৩ গড়ে করেছেন ৩৩২ রান। কানাডার গ্লোবাল টি-২০তে সাত ইনিংসে ১৫২ রান করেছেন ২১.৭১ গড়ে। যেখানে স্ট্রাইক রেট প্রায় ১০০। গল টাইটান্সের হয়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও রান করতে পারেননি। সবশেষ এশিয়া কাপেও ছিলেন ব্যর্থ। সবশেষ ৯ ওয়ানডেতে একটি হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটার জানান, তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ভালো করলে ক্রিকেটারদের নিয়ে মাতামাতির অন্ত নেই সমর্থকদের। আবার প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারলে দু’দিন আগে যাদের মাথায় তুলে নেচেছেন তাদেরই গালমন্দ করতে পিছপা হন না তারা। ক্রিকেটারদের সমালোচনায় বিদ্ধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় তুলে ফেলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। লিটনের মতো সমালোচনায় হয় অন্যান্য ক্রিকেটারদের নিয়েও। তবে এসব লিটন এবং অন্যদের সেভাবে প্রভাব ফেলে না বলে জানান তিনি।
‘এখন এত পরিমাণে খেলা এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কারো কাছেই নেই। যে যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারপর বাদ বাকি সময়টা তারা পরিবারকে দেয়। আমার কাছে মনে হয় না এই জিনিসটা কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তবে পরিবারকেন্দ্রিক হলে ভিন্ন কথা।’
মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে মনোযোগ
আবহাওয়া খূব একটা সুবিধার মনে হচ্ছে না। গতকাল সকালেও রোদ ছিল কিন্তু দুপুর গড়াতেই নেমে এল মুষলধারে বৃষ্টি। তাতে ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দলের অনুশীলন হলো না। লিটন সংবাদ সম্মেলনে শেষে ট্রফি উন্মোচনে আসতে না আসতেই বৃষ্টি শুরু। এরপর অবশ্য ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য ইনডোরে গিয়েছিলেন লিটন-মাহমুদুল্লাহ।
আবহাওয়ার এমন অবস্থায় ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে মনস্তাত্ত্বিক খেলায়ই বাড়তি মনোযোগ দিতে চান লিটন। তবে প্রতিপক্ষ দলের পেস বোলিং ইউনিটে বড় নাম ছাড়াও কিউই স্পিনারদের নিয়েও সতর্ক বাংলাদেশ। লিটন বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করার তো সুযোগ নাই। যা করার মানসিকভাবে করা লাগছে, মাইন্ড গেম খেলা লাগছে। দেখি কতটুকু সফল হওয়া যায়। টেকটিক্যালি তো কিছু করতে পারিনি, গত কিছু দিন অনুশীলন করতে পারিনি। হয়ত প্র্যাকটিস ছাড়াই মেইন ম্যাচে খেলা লাগতে পারে। এটা মানসিকতার খেলা। ওদের স্পিনও ভালো, কোয়ালিটি স্পিনারও কিন্তু আছে।’
মাহমুদুল্লাহ-তামিমকে চাপে ফেলতে চান না
দীর্ঘ দিন পর বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াডে ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তামিম ইকবালও ফিরেছেন ইনজুরি কাটিয়ে। এই দু’জন সিনিয়র ক্রিকেটার নিজেদের সেরাটা দেবেন বলেই বিশ্বাস লিটন দাসের। শেষবার বাংলাদেশের জার্সিতে মাহমুদুল্লাহ খেলেন চলতি বছরের মার্চে। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সেই ম্যাচটির পর জাতীয় দলে উপেক্ষিত তিনি। তবে সময়ের পরিক্রমায় আবারো জাতীয় দলে ফিরেছেন রিয়াদ।
মাসখানেক আগে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলার পর এবারই প্রথম কোনো সিরিজে জায়গা হলো তামিম ইকবালের। মধ্যের সময়টায় অবসর, ইনজুরি, পুনর্বাসনেই কাটিয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে মাহমুদুল্লাহ এবং তামিম- দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই নিজেদের পারফরম্যান্সে প্রত্যাবর্তন রাঙাবেন বলে বিশ্বাস লিটনের।
লিটন বলেন, ‘দুইজন সিনিয়র খেলোয়াড় থাকলে তো অবশ্যই সব দিক থেকে হেল্প হয়। অনেক দিন পর তারা খেলতে এসেছেন। আমি চাই না কোনো কিছু নিয়ে তাদের চাপ দিতে। তারা গেমটা এনজয় করুক। এনজয় করতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
সৌম্যেতে আশাবাদী অধিনায়ক
মাহমুদুল্লাহ-তামিমের মতো এবারের সিরিজে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। উল্লেখ করার মতো কোনো পারফরম্যান্স ছাড়াই জাতীয় দলের স্কোয়াডে নাম লিখিয়েছেন। সৌম্যর ব্যাপারেও আশাবাদী লিটন। সৌম্য বা মাহমুদুল্লাহ- কাউকেই নিজেদের ভূমিকা বোঝাতে চান না তিনি। অধিনায়কের কথায়, ‘কার কি রোল সেটি আসলে বলতে চাই না। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। এখন যদি ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়ে যায়, এখন যদি রিয়াদ ভাই ব্যাটিংয়ে যায়, ৩০-৩৫ ওভারের খেলা থাকে, তাহলে উনি উনার মতো করেই গেইম খেলবে। ওটা বলার দরকার নাই। উনি অনেক ম্যাচুরড। এটা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানে সুযোগ পাবে তারা রান করার চেষ্টা করবে। ইমপ্যাক্ট শুধু তারা দু’জন না, প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানের কাজ রান করা।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা