রঙ দেখাতে শুরু করেছে হকি নির্বাচন
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৫ জুন ২০২৩, ০০:০৫
হকি নির্বাচন মানেই ভিন্ন আবহ, ভিন্ন পরিবেশ। কখনো বন্ধুসুলভ, কখনো পরছায়া, কখনো পরশ্রীকাতরতা, চেনা-অচেনা, বন্ধু যখন শত্রু অথবা শত্রু যখন বন্ধু। গত নির্বাচনে একটা পক্ষ নাড়িয়ে দিয়েছিল হকি কুলের সব ভিত। এবার তো বিষয়টি আরো সহজতর। কোনো প্রতিপক্ষ নেই। হকির ইতিহাসে শীর্ষ চার ক্লাব (আবাহনী, মোহামেডান, মেরিনার্স, ঊষা) এবার এক হয়েছে। সব পরাশক্তিই যেখানে পক্ষে সেখানে তো পদ-পদবি-কাউন্সিলর নিয়ে কোন নোংরামি হওয়ার কথা নয়। তারপরও আপত্তির দিনে ছোড়া হলো অভিযোগের তীর। রঙ দেখাতে শুরু করল হকি নির্বাচন। বোদ্ধাদের মতে, ‘এত কিছুর দরকার ছিল না।’
১৯ জুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। গতকাল ছিল ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণের দিন। হকি ইউনাইটেডের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয় সাজেদ আদেলের নাম এবং কম্বাইন্ড স্পোর্টিংয়ের কাউন্সিলর হিসেবে পাঠানো হয় জহিরুল ইসলাম মিতুলের নাম। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় কাউন্সিলর হিসেবে নাম আসে যথাক্রমে আনোয়ার পারভেজ এবং আবদুর রশিদের। এ ব্যাপারে আপত্তি জানাতেই সাজেদ গিয়েছিলেন এনএসসি ভবনে নির্বাচন কমিশনের দফতরে। কিন্তু বাহফে সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের বাধার মুখে আপত্তি জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন বাহফে সহসভাপতি সাজেদ এ এ আদেল।
তার অভিযোগ, ‘এনএসসিতে মমিনুল হক সাঈদ সাহেব দলবল নিয়ে বসা ছিলেন। সাঈদ আমাকে আপত্তি দুটি জমা দিতে দেয়নি। সে বলেছে, আপনি জমা দিতে পারবেন না। আমি যখন লিফট দিয়ে উঠেছি তখনই ওরা ঘেরাও করে এবং বলে, এখানেই দাঁড়ান। পরে অনুমতি দেয়া হয়।’ সাজেদ যোগ করেন, ‘আমি বলেছি, ভাই, এটা তো টেন্ডার না। এরপর মিতুলের হাত থেকে কাগজপত্র নিয়ে নেয়। ফলে আমরা আর আপত্তি জমা দিতে পারিনি। পরে আমি ই-মেইলে আপত্তিপত্র পাঠাই।’ তাদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাহফে সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, ‘আমার ওপর আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত। কে কি করেছে সেটা ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট হবে। এমনো হয়েছে আমি বাইরে অন্য এক জায়গায় বসা। অথচ বলা হচ্ছে আমি এনএসসিতে আপত্তিতে বাধা দিচ্ছি।’
দশটির বেশি বঞ্চিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার চিঠি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন রাজশাহীর রতন। সে চিঠি গ্রহণ না করে ফটোকপি করে আনতে বলে নির্বাচন কমিশন। ফটোকপি করে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছাতে রতনের ২টা ৫ মিনিট বেজে যায়। নির্বাচন কমিশন অবগত থেকেও শেষ পর্যন্ত রতনের কাছে থাকা চিঠি গ্রহণ করেননি। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি মমিনুল হক সাঈদের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও জড়িয়ে যাচ্ছে। সাঈদ উল্টো জানালেন, ‘আমি নিজে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি মাত্র ২-৩ মিনিটের বিষয়, তাদের চিঠি গ্রহণ করা হোক।’ নির্বাচন কমিশনে সাঈদের উপস্থিতিও বাঁকা নজরে দেখেছেন অনেকেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক অর্থ সাইদুর জানালেন, ‘কেউ বাধার সম্মুখীন হলে সেটা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তা ছাড়া কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী ই-মেইলে আপত্তি গ্রহণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।’ এর অর্থ সাজেদ আদেলের আপত্তি গৃহীত হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা