২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওপেনিং জুটি উপভোগ করছেন রনি

-

গত বছর সব সংস্করণ মিলিয়ে সারা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল লিটনের। বাংলাদেশের রেকর্ড রান তো বটেই। চলতি বছরও বহাল আছে তার সাফল্যের ধারা। ওয়ানডে, টি-২০ মিলিয়ে সবশেষ ৬ ইনিংসের চারটিতেই ফিফটি পেরিয়েছেন লিটন। গত ম্যাচে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি করে দেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।
ওপেনিং জুটির ঝলক প্রসঙ্গে আগের দিন লিটন বলেছিলেন, ‘সাথী বদল হওয়ায়, পারফরম্যান্স হয়ে গেছে’। রনি তালুকদারের সাথে ব্যাট করে মজা পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছিলেন। এবার রনিও তার ওপেনিং পাটনারের প্রশংসায় মাতলেন। রনি মনে করেন কেবল ওপেনিং নয়, সব মিলিয়ে লিটনই বাংলাদেশের মূল ব্যাটসম্যান।
রনির সাথে তার জুটি যে বেশ জমে উঠেছে পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। পাঁচ ইনিংস ওপেন করে ৬৩.৮০ গড় আর ওভারপ্রতি ১০.৬৩ রানরেটে ৩১৯ রান করেন লিটন-রনি। ২০২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১৮টি ভিন্ন জুটির মধ্যে রনি-লিটনই রান, গড়, ওভারপ্রতি রানরেটে সবার সেরা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে রনি-লিটন করেন ৮১ রান। পাওয়ার প্লেতে যা বাংলাদেশের রেকর্ড। ৪৩ বলের জুটিতে তারা আনেন ৯১ রান। পরের ম্যাচে ৪৩ বলে স্পর্শ করেন ১০০। টি-২০তে যা বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় পুঁজি। রেকর্ড ১২৪ রানের জুটিও তাদের। তবে অগ্রণী ভূমিকা ছিল লিটনের।
গতকাল বিশ্রামের দিনে টিম হোটেলে সতীর্থ লিটনকে নিয়ে প্রশংসায় মাতেন রনি, ‘আমি মনে করি ও (লিটন) এখন বাংলাদেশ দলের মূল ব্যাটসম্যান। ওর সাথে ব্যাটিং করতে পারা সত্যি অনেক আনন্দের। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, স্ট্রাইক রোটেট করার। ওর সাথে ব্যাটিং করলে মনে হবে না যে কিভাবে রান হয়ে যাচ্ছে। ব্যাটিং দেখলে মনে হয় যে তার ব্যাটিংটা দেখেই যাই। অনেক কিছু শেখারও আছে।’
লিটনের সাথে ব্যাট করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে রানের চাপ না থাকা। দুই প্রান্তেই যখন রানের চাকা থাকে সচল তখন খেলা হয়ে যায় সহজ। যেকোনো একজনকে বাড়তি ঝুঁকির চিন্তায় যেতে হয় না। রনি মনে করেন এটাই সবচেয়ে সুবিধার, ‘দেখেন এই জিনিসটা প্রতিটা ব্যাটসম্যানেরই একই উত্তর থাকবে। আমিও চাই, আমার খেলার প্যাটার্ন যখন অ্যাগ্রেসিভ খেলি, আমার পার্টনারও যেন একই রকম খেলে। খেলতে পারে। এটা দু’জনের জন্যই সহজ হয়ে যায়। তখন একটা লম্বা ইনিংস খেলার জন্য খুবই জরুরি মনে করি।’
বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারির পাশাপাশি ডট বল কম খেলাও বাংলাদেশকে গড়ে দিয়েছে বড় রানের ভিত। প্রথম ম্যাচে ১৭ ও পরের ম্যাচে ২৩টি ডট বল এসেছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংস। আগে যেখানে প্রতি ম্যাচে ৪৫ থেকে ৫৫টি পর্যন্ত ডটবল অহরহ খেলতে দেখা যেত। রনি জানান, ‘অভিপ্রায় ঠিক থাকায় ডট বলের চাপ তৈরি হয়নি, টি-২০ হোক কিংবা ওয়ানডে, আপনি যদি স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে পারেন ব্যাটসম্যানের দিক থেকে প্রেশার রিলিজ হয়ে যায়। আমরা ওটাই চেষ্টা করছিলাম যে প্রতি বলেই রান নিবো। যদি ইন্টেন্ট পজিটিভ থাকে, তাহলে আপনি এটা করতে পারবেন। আমরাও চেষ্টা করছিলাম।’


আরো সংবাদ



premium cement