২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

টাইগার পেসারদের রেকর্ড

-


সাম্প্রতিক সময়ে পেসারদের দুর্দান্ত সাফল্যে ক’দিন আগেই মন্তব্য করেছিলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। ‘আমরা সবাই পেসারদের দ্বারা অনুপ্রাণিত।’ আর আইরিশ কোচ হেনরি বলেছিলেন, ‘স্পিনের ধারণা নিয়ে আমরা এসেছি। পেসার যে এত উন্নতি করেছে সেটি জানা ছিল না। নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে তাদের নিয়ে।’
পেসারদের উন্নতির ধারা যে চলমান তা প্রমাণ হলো আরো একবার। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ১০টি উইকেট নিলেন পেসাররা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে সবগুলো উইকেট নেন বাংলাদেশের তিন পেসার হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। প্রথমবারের মতো ফাইফার তুলে নেন হাসান। বাকি পাঁচটি উইকেট ভাগ করে নেন তাসকিন ও ইবাদত।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হরহামেশা এক ইনিংসে পেসাররা ১০ উইকেট নিলেও দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই প্রথম। ওয়ানডে, টি-২০ কিংবা টেস্ট কোনো সংস্করণেই এর আগে এমনটি হয়নি। এর আগে এক ইনিংসে একাধিকবার সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেয়ার রেকর্ড আছে।


অথচ আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে একাদশে ছিলেন তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। দুই বাঁ হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদের সাথে দলে ফেরেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও। কিন্তু সাকিব গতকাল বোলিংয়ই করেননি। নাসুম করেছেন মাত্র তিন ওভার। আর মিরাজ করে মাত্র এক ওভার।
এ দিন আইরিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ভাঙেন ওপেনিং জুটি। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টিফেন ডোহেনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের হাতে। এরপর এ তরুণ পল স্টার্লিং ও হ্যারি ট্যাক্টরকে ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে।
হাসানের তিন উইকেট শিকারের পর মঞ্চে আসেন তাসকিন। আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত করেন। এরপর অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফার। টাকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৪২ জুটি ভাঙেন ইবাদত। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন এ পেসার। ২২তম ওভারে ফিরে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও মার্ক অ্যাডাইরকে তুলে আইরিশ শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন তাসকিন। ক্যাম্ফার অবশ্য এক প্রান্ত আগলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে তাসকিনের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান হাসান। পরের ওভারে ফিরে গ্রাহাম হিউমকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন এ তরুণ।
৮.১ ওভার বল করে ৩২ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন হাসান। ১০ ওভার বল করে ২৬ রানের বিনিময়ে ৩ শিকার তাসকিনের। ৬ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন ইবাদত।

 


আরো সংবাদ



premium cement