২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাথুরুর ডেপুটি হতে সালাউদ্দিনের না

-

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হয়ে ফিরছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রথম মেয়াদে সাড়ে তিন বছরের মতো দায়িত্ব পালন করেছিলেন হাথুরুসিংহে। বর্তমানে তার সাথে দু’জন সহকারী কোচ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিদেশীদের সাথে আলোচনায় আছেন দেশীরাও। আগের মেয়াদে সাড়ে তিন বছরের মতো কাজ করলেও হাথুরুর সাথে তেমন আলোচনা হয়নি দেশ সেরা স্থানীয় কোচ সালাউদ্দিনের।
সে ক্ষেত্রে বিসিবি চাইলে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কি না জানতে চাইলে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমার মনে হয়, বোর্ডের যারা কর্মরত আছে, তাদের থেকে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। তারা অনেক দিন ধরে বোর্ডে কাজ করছেন। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা মূলত হাথুরুসিংহের সম্পর্কে জানেন এবং সেরা সহযোগিতা করতে পারবেন। আমি ডেভেলপমেন্টের ছেলেদের চিনি না, এমনকি এইচপির ছেলেদেরও চিনি না। একটা জায়গায় কাজ করতে হলে সব জ্ঞান লাগবে এবং সেই কোচ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।’
একই সাথে নিজের বয়সকে টেনে এনে তিনি বলেন, ‘হাথুরুসিংহের মানসিকতা কেমন, সে কেমন কোচ তা আমি জানি না। আমি যার সাথে কাজ করব তার ব্যাপারে আমার জানা দরকার। কারণ আমার এখন যেই বয়স, নিজে থেকে মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা আছে কি না, আমি জানি না। কারণ গত ৫-১০ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে কাজ করছি। এখন সহকারী কোচের জায়গাটা আমি পারব কি না, আমার সেই সার্বিক ক্ষমতা আছে কি না সেটাও দেখতে হবে।’
সালাউদ্দিনের কথায় অনেকটা স্পষ্ট যে, বিসিবি চাইলেও আপাতত হাথুরুর সহকারী হচ্ছেন না। প্রধান কোচের দায়িত্বকেই উপভোগ করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় এ কোচ। সামনেও সেই জায়গায় কাজ করে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করেই হঠাৎ পদত্যাগ করেছিলেন। তার চলে যাওয়াতে ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য আলাদা কোচ খুঁজতে হয়েছিল বিসিবির। হাথুরুসিংহে এভাবে বিদায় নেয়ার পরও ফেরানো মানে বিশেষ কিছু তার মাঝে খুঁজে পেয়েছে বোর্ড। লঙ্কান কোচের প্রত্যাবর্তন ঘিরে চলছে অতীত ও ভবিষ্যতের নানা আলোচনা সর্বত্র। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বোর্ড ও স্থানীয় কোচ। দেশের শীর্ষস্থানীয় কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে হয়তো হাথুরুর কাছে বিশেষ কোনো জাদুর কাঠি আছে বলেই তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ‘কেউ একজন হঠাৎ করে চলে গেছে, তাকে আবার আমরা জোর করে আনছি। নিশ্চয়ই জাদুর কাঠি কিছু আছে। তাতে সবাই আশা করে অনেক ভালো ফল হবে।’
বিপিএলে এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সালাউদ্দিন। বলতে গেলে এবার বিপিএল মাতিয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। সবমিলিয়ে তাদের আড়ালে পড়ে গেছে দেশীয়দের পারফরম্যান্স। পাকিস্তানিরা দেশে ফিরে যাওয়ায় সুযোগ ছিল দেশীয়দের। অন্য দলে দু-একজন ক্যারিশমা দেখাতে পারলেও ভিক্টোরিয়ান্সদের কেউ পারেনি। তাতে হতাশ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ‘স্থানীয় খেলোয়াড়দের কাছে আমি সাধারণ সেন্স আশা করেছিলাম। সেটা পাইনি। তাদের কমনসেন্স আছে কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ। মিরপুরে ঘরোয়া ক্রিকেট ১৫ বছর ধরে খেললে জানা উচিত কি করতে হবে। আমার মনে হয় না তারা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করে। ’


আরো সংবাদ



premium cement