সহজ জয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ড ৩-০ সেনেগাল- রফিকুল হায়দার ফরহাদ, কাতার থেকে
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০৫
অল্পসংখ্যক সেনেগালিজের উপস্থিতি ছিল আল বায়েত স্টেডিয়ামে। ৫৬ মিনিটের মধ্যেই সেনেগালের জালে তিন গোল। খেলার সব আকর্ষণের ইতি তখনই। কিন্তু এই শ’খানের দর্শকের ঢাক ঢোল পিটিয়ে উল্লাস থামছিলই না। খেলা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পরও চলছিল তাদের এই আনন্দটা। তবে তাদের এই প্রাণ খোলা উদযাপনটা একটি বারের জন্যই গোলের আনন্দে পরিণত হয়নি। উল্টো ০-৩ গোলে হার। ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায়।
অবশ্য ২০ বছর পর বিশ্বকাপে এসে নকআউটে খেলাটা কম নয় আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের জন্য। পরশু রাতে এই আফ্রিকান দেশটিকে সহজে হারিয়েই ইউরো রানার্সআপ আর গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা এখন শেষ আটে। ১০ ডিসেম্বর রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামেই তাদের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে।
খেলা শুরুর দিকে একটি চান্স। প্রথমার্ধের ৪ মিনিট ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে আগেরটি গোলের চান্স। প্রথমটি থেকে জালের সন্ধান পায়নি সেনেগাল। আর ৪৫ মিনিটের যোগ করা সময়ে ইংল্যান্ডের গোল ম্যাচ থেকেই ছিটকে ফেলে পশ্চিম আফ্রিকান দেশটিকে। এরপর ৫৬ মিনিটের গোল ইংলিশদের কোয়ার্টারে যাওয়া পথে আর কোনো বাধাই রাখেনি। গত পরশু রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে এভাবেই আফ্রিকার দেশটির ফের শেষ আটে উঠার স্বপ্ন মিলিয়ে যায়। সহজ ম্যাচ জিতে গ্যারেথ সাউথগেটের দল এখন গতবারের মতো ফের সেমিতে খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে। আর আলিও সিসের দলকে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে।
অথচ ম্যাচের তিন মিনিট বয়সের সে চান্স থেকে শুরু করে পিছিয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত কি দুর্বারই না ছিল আলিও সিসের দল। এগিয়ে যাওয়ার তিনটি পরিষ্কার সুযোগ। ইংল্যান্ড তখন ভীষণ চাপে। কিন্তু তিনবারই ব্যর্থ সেনেগালের স্ট্রাইকার বাউলায়ে দিয়া। প্রথমটিতে তিনি দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে পোস্টে শটই নিতে পারেননি। এরপর দুইবার ঠিকই শট নেন ইংলিশদের পোস্টে। কিন্তু বাধা বিপক্ষ গোলরক্ষক জর্দান ফিকফোর্ড। বিশেষ করে ৩১ মিনিটে অসামান্য দক্ষতায় তিনি রুখে দেন বাউলায়ের দিয়ার শট।
গোলরক্ষক এমন দু’টি ভালো লাইফ দেয়ার পর অন্য ফুটবলারদের দায়িত্ব দলকে এগিয়ে নেয়া। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে সেই কাজই করেছে ইংল্যান্ড। ৩৮ মিনিটে এখনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে না খেলা জুডি বেলিংহ্যামের পাস থেকে ডান পায়ের শটে দল এগিয়ে নেন জর্দান হেন্ডারসন। এরপর ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ফিল ফোডেনের পাসে সামনে থাকা চেলসিতে খেলা গোলরক্ষক ম্যাথু মেন্ডিকে পরাস্ত করেন হ্যারি কেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবারের বিশ্বকাপের নিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে পেলেন গোলের দেখা। ৪২ মিনিটে তিনি গোলের দেখা পাননি বুকায়ো সাকার ক্রসে ফাঁকায় বল পেয়েও। বল পাঠান বার উঁচিয়ে। এর পরও তিনিই কাল হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর ছক কষেই দল মাঠে নামান সেনেগালের কোচ। কিন্তু তা আর হয়নি ৫৭ মিনিটে বুকায়ো সাকা ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় গোল করলে। তাকে বলটি দেন ফিল ফোডেন। ম্যাচ মোটামুটি তখনই শেষ। ৭৫ মিনিটের পর থেকেই দর্শকদের শুরু মাঠ ত্যাগ করা। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার আগে ৬৫ হাজার ৯৮৫ জন দর্শক উপস্থিতির অর্ধেক গ্যালারিই খালি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা