২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিরোপা ঘরেই রাখতে চান নিগার

টি-২০ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ট্রফি হাতে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল : বিসিবি -

আগামী ১ অক্টোবর থেকে সিলেটের মাটিতে শুরু হবে মেয়েদের টি-২০ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের অষ্টম আসর। এই আসরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সর্বশেষ আসরের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরে সালমা বাহিনী। এবার তাই শিরোপা ধরে রাখার বড় চ্যালেঞ্জ টাইগ্রেসদের। চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখার মিশনে ১১০ ভাগ উজাড় করে দেয়ার কথা জানালেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আরব আমিরাতে টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গতকাল সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। দেশে ফিরে খুব একটা বিশ্রামেরও সময় পাবেন না নিগার সুলতানা জ্যোতি, রোমানা আহমেদ, সালমা খাতুনরা। কেননা মাত্র তিন দিন পরই ঘরের মাঠে শুরু হতে চলেছে মহিলা এশিয়া কাপ অষ্টম আসরের খেলা। বিমানবন্দরে এশিয়া কাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে নিগার বলেন, ‘১১০ পারসেন্ট দিতে চেষ্টা করব। কারণ নিজেদের মাটিতে খেলা এবং টিম ভালো অবস্থানে। অবশ্যই চাইব ঘরের শিরোপা যাতে ঘরেই থাকে।’
নিগার যোগ করেন, ‘আমাদের দিক থেকে চিন্তা করলে আমরা কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। আমাদের দলে অনেকেই আছে যারা আগের এশিয়া কাপ খেলেছে। তারা সবাই অভিজ্ঞ। ঘরের মাঠে যেহেতু খেলা, নিজেদেরকে এগিয়ে রাখাই উচিত।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলায় এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান নিগার, ‘যেহেতু আমরা ভালো একটা প্রস্তুতি পেয়েছি। চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় অনুপ্রেরণা কিন্তু কিছু হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে মনে হয়, সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হলো আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে এসেছি। যেটা পুরো দলকে উজ্জীবিত করছে।’
এশিয়া কাপে কম্বিনেশন ঠিক থাকলে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নিগার। তার কথায়, ‘আমাদের জন্য বাছাইপর্ব সেরা প্রস্তুতি ছিল, কারণ ম্যাচ প্র্যাকটিসের চেয়ে ভালো কোনো প্রিপারেশন হতে পারে না। যেহেতু আমরা এই ফরম্যাটেই খেলে এসেছি, তাই এশিয়া কাপে এটি আমাদের অনেক বেশি সাহায্য করবে। যদি টিম কম্বিনেশন ঠিক থাকে, দল হিসেবে কাজ করতে পারি, মনে হয় ভালো ফল হবে।’
নিগার যোগ করেন, ‘দলের জন্য সবাই চাই কিছু না কিছু করতে, দুবাইয়ে বাছাইপর্বে দেখবেন একজন না পারলেও আরেকজন ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেছেন। যারা সিলেকশন প্যানেলে আছেন, তারা কিন্তু খুব ভালোভাবেই এটা কাভারআপ করেছেন। বাছাইপর্বে সিনিয়র প্লেয়ার ফারজানা আপু কোভিডের জন্য, জাহানারা আপু চোটের কারণে দলে থাকতে পারেননি। তারপরেও টিমে যে কম্বিনেশন ছিল এবং যারা ব্যাকআপ প্লেয়ার ছিল তারা কিন্তু সবসময়ই চাই দলের জন্য কিছু করতে। কেউ একজন ভালো না করতে পারলেও অন্য কেউ দাঁড়িয়ে যায়। এটা নিয়মিত করতে পারলে বিশ্ব ক্রিকেটে ভালো কিছু করব।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, এখানে যারা সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন তারা ভালো পারফর্ম করছেন। স্পেশালি আমি যদি বলি রুমানা আহাম্মেদ প্লেয়ার অব দা ফাইনাল হয়েছেন। সালমা আপু কিন্তু কন্টিনিউয়াসলি টিমের জন্য ভালো বল করে যাচ্ছেন। তাই আমি বলব সিনিয়ররা একটা ভিত গড়ে দিয়ে যাচ্ছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement