২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কক্সবাজারে কেন অনুশীলন হয়নি আরচারদের

-

‘বাংলাদেশের টঙ্গীতে আমরা যেখানে সারা বছর অনুশীলন করি সেখানে এমন বাতাসই নেই। এক দিকে গাছ আর অন্য দিকে রাস্তা ও বড় বড় বিল্ডিং। তাই কোনিয়ার আরচারি গ্রাউন্ডের এই খোলা প্রান্তরের বাতাস আমাদের খুব সমস্যা করেছে।’ এবারের ইসলামী সলিডারিটি গেমসের আরাচারি শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশী আরচারদের এই বাতাসের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অভিযোগ। কাল কম্পাউন্ড মহিলা এককের ব্রোঞ্জের ম্যাচে হারের পর রোখসানা আক্তারের অভিযোগ- ‘বাতাসের কারণে আমি তো ঠিক মতো দাঁড়াতেই পারছিলাম না। তীর ছুড়ব কী করে। প্রথম রাউন্ডে আমি বাতাসের সাথে খাপখাইয়ে তীর ছুড়তে ছুড়তেই বাজে স্কোর করি। এই তিন পয়েন্টে পিছিয়ে পড়াটা আর কভার করতে পারিনি। তাই পদকও হয়নি।’ বাইরের দেশের এই প্রবল বাতাসের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য দেশে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে আরচারদের প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছিলেন জার্মান কোচ মার্টিন ফেডেরিখও। কিন্তু বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতের বাতাসে দলের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারেনি।
রোখসানার এই হতাশার সাথে পুরো আরচারি দল এবং বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টও একই কাতারে। সবার প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশ মহিলা কম্পাউন্ডের এই এককে শেষটা ভালো করে পদক জিতেই কোনিয়া সলিডারিটি গেমস শেষ করতে পারবে। অথচ হলো উল্টো।
রোখসানা জানান, আমাদের দেশে বাতাস আছে; কিন্তু কোনিয়ার মতো এত বাতাসে আমরা কখনোই অনুশীলন করিনি। বাইরে খেলতে আসার আগে আমরা যদি কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে বা খোলামেলা জায়গায় বাতাসের মধ্যে অনুশীলন করতাম তাহলে দেশের বাইরে এমন বাতাসের মধ্যেও ভালো করতে পারতাম।
একই সুরে কথা বললেন কম্পাউন্ডের আরচার আশিকুজ্জামানও। তার মতে, তুরস্ক দল আনতালিতে সব সময়ই অনুশীলন করে। সেখানে প্রবল বাতাস। ইরান দলও বাতাসে অনুশীলন করে। কিন্তু আমরা কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতের বাতাসে প্র্যাকটিসই করতে পারি না। করতে পারলে খুবই ভালো হতো।
কোচ ফেডেরিখ প্রথমে জানান, ‘বাতাস তো সবার জন্যই সমান। এটাকে অজুহাত বলা যাবে না।’ পরে অবশ্য বলেন, অবশ্যই আমরা যদি এই বাতাসের মধ্যে অনুশীলন করতাম তাহলো খুব ভালো হতো। আমি দু’টি বড় আসরের আগে ফেডারেশনকে বলেছিলাম কক্সবাজারের সাগরপাড়ে প্রবল বাতাসে আরচারদের অনুশীলন করানোর জন্য। তবে ফেডারেশন সে ব্যবস্থা করতে পারেনি।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সেক্রেটারি কাজী রাজীব উদ্দিন চপল জানান, বললেই তো আর কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া দিয়ে আরচারদের অনুশীলন করানো যায় না। টাকাপয়সার ব্যাপার আছে।


আরো সংবাদ



premium cement