২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘ওয়ানডেতে আরো উন্নতি করতে হবে’

-

টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের ধারা জিম্বাবুয়ে ভেঙেছে। প্রথম দুই ওয়ানডেতে দু’টি চ্যালেঞ্জিং স্কোর ৩০৪ ও ২৯১ তাড়া করে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় ম্যাচে গত বুধবার ১০৫ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। এতে স্পষ্ট বাংলাদেশের ওয়ানডে দলকে উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি েেত্র নজর দিতে হবে। তা বললেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে দলের দায়িত্বে থাকা তামিম বলেন, উন্নতির কথা বলা প্রায়ই বিরক্তিকর হয় এবং এটি সাধারণত উঠে আসে যখন আমরা একটি ম্যাচ বা সিরিজে হেরে যাই। আমরা যদি অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের কাছে পরাজিত হতাম, তাহলে বলতেন, ‘বিরাট কোহলি বা স্টিভেন স্মিথ আমাদের বিরুদ্ধে এমন নক খেলেন। তখন আমরা সত্যিই এটিকে মনে রাখতাম না। কারণ তারা সেরা খেলোয়াড়, শীর্ষ দল।’
তিনি যোগ করেন, আমরা পরের বছর ঘরের মাঠে ও বাইরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলব, সেখানেও হার হতে পারে। তার মানে এই নয়, আমরা দল হিসেবে দুর্বল। আমরা একটি দুর্দান্ত ওয়ানডে দল। আমি আলাদাভাবে ব্যাটসম্যান বা বোলারদের দোষ দিচ্ছি না। আমরা একটি ইউনিট হিসেবে ভালো করতে পারিনি, যার মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন।
তামিম বলেন, জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চারটি সেঞ্চুরি ছিল। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটিও নেই। রাজার জোড়া সেঞ্চুরি, কাইয়া এবং চাকাবভাও শতরান করেছিলেন। দুর্বল দল নিয়ে খেলেও সিরিজ জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রশংসাও করেন তামিম। বলেন, আমরা আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি, তারা কাজে লাগিয়েছে। তাদের দুই প্রধান ফাস্ট বোলার ইনজুরিতে, দুই ব্যাটার খেলতে পারেননি। তার পরও কৃতিত্ব জিম্বাবুয়েকে দিচ্ছি।
তামিম বলেন, আমি নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নই। যদিও আমি কিছু রান করেছি, খুব ভালো উইকেটে আরো রান করা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩৩ রান। ২০১৮ সালের পর ওয়ানডেতে ৩০০ প্লাস স্কোর দেখা গেছে ১৭০ বার। ৩৩ বার ৩৫০-র বেশি রান। সে তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম। আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ডও এই সময়ে ৩৫০ রান করেছে। ওয়ানডেতে সাফল্য পেতে হলে বড় সংগ্রহের বিকল্প নেই। বিষয়টি ওয়ানডে অধিনায়কও জানেন।
তামিম বলেন, ৩৫০ স্কোর করা আমাদের দলের ল্যগুলোর মধ্যে একটি, যা আমরা আগে করিনি। মিরপুর ছাড়াও ভারতের কিছু ভেনু যেখানে আপনি ২৬০-২৭০ স্কোর করে ম্যাচ জিততে পারেন। বেশির ভাগ ভেনুতেই আরো রান করতে হয়। এ নিয়ে আমরা বেশ সতর্ক।
বাংলাদেশ তৃতীয় ওয়ানডে জিতেছিল মূলত আফিফ হোসেনের ৮১ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের জন্য। আফিফ প্রসঙ্গ আসায় তামিম বলেন, তাকে আপাতত কোনো উপাধি না দেই, এখনই খেতাব দেয়া তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তার বিশেষ গুণ রয়েছে, যা খুব বেশি মানুষের নেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে সে যখন ব্যাটিংয়ে আসে তখন আমরা চাপে ছিলাম এবং সে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের খেলোয়াড়দের েেত্র অনেক সময় এমন হবে- একই জিনিস করতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। এরপর আমরা বলব এটা কী করল? আমি চাই না সে তার গুণ হারাক। যেভাবে সে ব্যাট করতে চায় করুক, এটা দারুণ। এখনো তার ক্যারিয়ারের শুরু। আশা করি দারুণ এক ক্যারিয়ার হবে তার।


আরো সংবাদ



premium cement