২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এবার বোলিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার

পরাজয়ের পর হতাশ বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা : এএফপি -

ডোমেনিকা সফরটা সুখকর হলো না বাংলাদেশ দলের জন্য। এমনিতেই সেন্ট লুসিয়া থেকে সমুদ্রপথে আটলান্টিক সাগর পাড়ি গিয়ে মাঝ সমুদ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। এরপর বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় আগে সফরকারীদের বাজে ব্যাটিং। পরশু ডোমেনিকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-২০তে প্রাকৃতিক সমস্যা যোগ হয়নি। এরপরও সফরকারীদের হার। তা বোলারদের বাজে বোলিংয়ের কারণে। যদিও প্রথম থেকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ ভালো। দুই টেস্টে হারের পর টাইগার ব্যাটারদের তুলোধুনো করা হলেও সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিলেন বোলাররা। কিন্তু পরশু এদের বাজে বোলিংয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ ওভারে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ। এর জবাব দিতে গিয়ে শুরুতেই দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে। ফলে ৩৫ রানের হার নিয়ে ডোমেনিকা ছেড়ে দক্ষিণ আমেরিকার মূল ভূখণ্ডের দেশ গায়ানায় যেতে হচ্ছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে। সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ৭ জুলাই প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে। সিরিজে সমতা আনতে বাংলাদেশকে এখন জিততে হবে এই ম্যাচে।
১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভার পার হতেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল টাইগারদের। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০০ রান, যা ওভারপ্রতি ১৬-এর কাছাকাছি। এই প্রায় অসম্ভব কাজকে আর সম্ভব করতে পারেননি টাইগাররা। শেষ দিকে সাকিব ৪৫ বলে ৫০ পূরণ করার পথে ছক্কা-চারে কিছুটা মজা দিয়েছেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত সূচনা। শরিফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে ব্রেন্ডন কিং ৪৩ বলে ৫৭ রান করে সাতটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে। মূলত রভম্যান পাওয়েলের ২৮ বলে ৬ ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬১ রানই ১৯৩তে নিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান করেন ৩৪ রান ৩০ বলে।
শরিফুল ৪ ওভারে ৪০ রানে দু’টি উইকেট নেন। মেহেদি হাসান, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক পান একটি করে উইকেট। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে কোনো উইকেট না পেয়ে দেন ৪৬ রান। উইকেটশূন্য মোস্তাফিজ ৪ ওভারে দেন ৩৭ রান।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে। শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন দাস দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ৫ রান করে আউট। যদিও পরের বলেই এনামুল হক বিজয় বোল্ড। বোলার সেই ম্যাককে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ১১ রানে ফেরেন। ২৬ রানে দলের তৃতীয় উইকেটের পতন। তারপর আফিফকে নিয়ে সাকিব দলের হাল ধরেন।
২৭ বলে ৩ চার আর এক ছক্কায় ৩৪ রান করে আফিফ ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। সাকিব-আফিফের ৪৪ বলে ৫৫ রানের জুটি ভেঙে যায়। তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব ক্রিজে থাকলেও বাংলাদেশ ম্যাচে ছিল না। যদিও সাকিব ঝড় তোলেন শেষ দিকে। টি-২০ ক্যারিয়ারে দুই হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। ৫২ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস : ১৯৩/৫ (২০ ওভার) কিং ৫৭, মায়ার ১৭, পুরান ৩৪, পাওয়েল ৬১; শরিফুল ইসলাম ২/৪০।
বাংলাদেশ ইনিংস : ১৫৮/৬ (২০ ওভার) সাকিব ৬৮ অপ:, আফিফ ৩৪; শেফার্ড ২/২৮, ম্যাককে ২/৩৭।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫ রানে জয়ী।
সিরিজ : ১-০তে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রভম্যান পাওয়েল।


আরো সংবাদ



premium cement