২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দল হিসেবে খেলতে পারছি না : মাহমুদুল্লাহ

-

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ দল। টেস্টে হোয়াইটওয়াশের পরে বৃষ্টির কারণে ফল হয়নি টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে টাইগাররা হেরে গেছে ৩৫ রানে। রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৩ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে সাকিব আল হাসানের ধীর ফিফটির পর শেষ দিকের ঝড়ে ১৫৮ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের পর দুই আক্ষেপের কথা শোনালেন দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ জানালেন, সাকিবের সাথে অন্য ব্যাটাররা সামনে এগিয়ে এলে হয়তো ফল অন্য রকম হতেও পারত। এ ছাড়া বোলিংয়েও বাড়তি রান দিয়ে ফেলার আক্ষেপ টাইগার অধিনায়কের। লক্ষ্য আরেকটু কম হলে কাজ সহজ হতো মনে করেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘সাকিব খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে বোলিংয়ে সম্ভবত আমরা কয়েকটা ওভারে বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। আফিফ-সাকিবের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেটা আমাদের একটা মোমেন্টাম দিয়েছিল। শেষ দিকে সাকিব পরপর কয়েকটা বাউন্ডারি মারল।
‘তার পরও বোলিংটা যদি আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম, লক্ষ্যটা যদি আরেকটু কম হতো তাহলে হয়তো আমাদের জন্য ভালো হতো। আমরা যেখানে বল করতে চেয়েছি, সেখানে বল করতে পারিনি। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী বোলিং হয়নি। ১৯০ রান যখন তাড়া করবেন তখন ভালো একটা শুরু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো না হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওখানেই আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়ি। যেহেতু ওপেনিংয়ে আমরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পাচ্ছি না সে জন্য একটু অদল-বদল অনেক সময় হতেই পারে। আমার মনে হয় দল হিসাবে আমরা ভালো খেলতে পারছি নাÑ সেটিরই প্রভাব পড়ছে সবকিছুতে।’
শেখ মেহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসানের ৮ ওভার থেকে আসে ৭০ রান। পেসারদের বাকি থাকা একটি ওভার করানো হয় খণ্ডকালীন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে দিয়ে। ইনিংসের ১৩তম ওভারে সেই ওভারটি করে ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে আউট করেন মোসাদ্দেক, তুলে নেন মেইডেন ওভার।
তবু মোসাদ্দেককে দিয়ে আর দ্বিতীয় ওভার করাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ সাত ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে নেয় ৯৩ রান। এর মধ্যে ছিল সাকিবের ২৩ রানের ওভার, তাসকিনের ২১ রানের ওভার। তবু এক ওভারের বেশি আর পাননি মোসাদ্দেক।
ম্যাচ শেষে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। তার যুক্তি হলো, যেহেতু তখন উইকেটে ছিলেন দুই ডান হাতি ব্যাটার রভম্যান পাওয়েল ও ব্র্যান্ডন কিং। তাই ডান হাতি অফ স্পিনার মোসাদ্দেককে আনেননি তিনি। একইভাবে বাঁ হাতি ব্যাটার পুরান উইকেটে থাকায় মধ্যে বাঁ হাতি স্পিনার সাকিবকেও বোলিং করাননি। তিনি আরো যোগ করেন, ‘ওই পাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল। আপনারা দেখে থাকবেন, সাকিবকে আমি কিছুটা পরে বোলিংয়ে আনি। যেহেতু পুরান (বাঁ হাতি) ব্যাটিং করছিল। তবে আমার মনে হয় রভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। সে আমাদের থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement