১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লজ্জার হারে শঙ্কায় বসুন্ধরা কিংস

মোহনবাগান ৪ : ০ বসুন্ধরা কিংস
-

ম্যাচের ২০ মিনিট বয়সেই বসুন্ধরা কিংস ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। অথচ ৩৪ মিনিটে দেখা গেল বাংলাদেশী ক্লাবটির জালে দুই গোল। ম্যাচ শেষে তার ৪-০। এএফসি কাপে ভারতের ক্লাবের কাছে হালি গোলের হারটা অপ্রত্যাশিত। কাল কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাদের এই স্কোর লাইনে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকল কলকাতার মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে তারা ২-৪ গোলে হেরেছিল গোকুলাম কেরালার কাছে। অন্য দিকে এই হারে গভীর শঙ্কায় অস্কার ব্রুজনের দলের ইন্টারজোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে খেলাটা। এ জন্য ২৪ মে জিততে হবে ভারতের অপর দল গোকুলাম কেরালার বিপক্ষে। সে সাথে নানা হিসেবের অপেক্ষায় থাকতে হবে। কাল রাতে কেরালা অপর ম্যাচ খেলেছে মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে। এর আগে প্লে-অফেও ঢাকা আবাহনীকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান। এতে দুই বাংলা ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ওপাড় বাংলারই জয়জয়কার অবস্থা বহাল থাকল।
প্রথম ম্যাচে মাজিয়ারকে ১-০ গোলে হারানোর বসুন্ধরা কিংস কাল একাদশে দুই পরিবর্তন এনে মাঠে নামে। ইনজুরিতে পড়া নূহা মারংয়ের বদলে একাদশে ম্যাথু চিনেডো। আর ইব্রাহিমের বদলে রিমন হোসেন। এই রিমন হোসেনের সাথে কপাল মন্দ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নদেরও। ১৮ ও ২০ মিনিটে বর্তমান উইংব্যাক এবং সাবেক স্ট্রাইকার রিমনের দু’টি শট প্রতিহত হয় মোহনবাগানের পোস্টে। প্রথমটি রবিনহোর ফ্রি-কিকে তার টোকা এবং পরেরটি বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো ডিফেন্সে ক্লিয়ার হওয়ার পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাম পায়ের তীব্র ভলি।
এরপরই ২৫ মিনিটে বিশ্বনাথের মারাত্মক ভুলে গোলের দেখা পান মোহনবাগানের স্ট্রাইকার লিস্টন কোলাসো। তার আলতো টোকায় পরাস্ত বসুন্ধরা কিংস গোলরক্ষক জিকো। ৩৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে স্কোর দ্বিগুণ করেন কোলাসো। আর বিরতির পর পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। ৫৬ মিনিটে ফের গোলবঞ্চিত বাংলাদেশী ক্লাবটি। রবিনহোর ফ্রি-কিকে ইয়াসিন আরাফাতের হেড পোস্টে বাতাস দিয়ে বাইরে যায়। চলতে থাকে বসুন্ধরা কিংসের ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা। কিন্তু তাতে কোনো ফল তো এলোই না উল্টো ৭৭ মিনিটে সুবিমল বাম পায়ের শটে জিকোকে চতুর্থবারের মতো বল কুড়াতে হয় জাল থেকে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর মিলে এই প্রথম এত বাজে হার বসুন্ধরার। তা ডিফেন্স লাইনের ব্যর্থতায়।


আরো সংবাদ



premium cement