২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ ট্রফি ধরে রাখার মিশন

-

খুশির আবর এখনো বিদ্যমান বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলে। ২০২১ সালে লাল-সবুজদের ফুটবলে সাফল্য এই মহিলারাই এনে দিয়েছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ সাফে তারা ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবার দরজায় কড়া নাড়ছে সাফ ফুটবল। অনূর্ধ্ব-১৯-এর মোড়ক পাল্টে ফের অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা সাফ। ২০১৮ সালে এই আসরের প্রথম শিরোপা জয়ীও রুপনা চাকমারা। এখন তাদের এই ট্রফি ধরে রাখার মিশন। ১৫ থেকে ২৬ মার্চ ভারতের জামশেদপুরে হবে এই টুর্নামেন্ট। বয়সভিত্তিক মহিলা সাফের সব আসরেই ফেবারিট গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল। তার ভারতের মাটিতেও শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বড় শক্তি, সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন দলের ১৩ জনের উপস্থিতি। বাফুফের ক্যাম্পে থাকা মোট ৬৭ ফুটবলারের মধ্যে এই অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ দলেরও চলছে কঠোর অনুশীলন।
বেশি বয়স হওয়ায় এবারের অনূর্ধ্ব-১৮ দলে খেলতে পারবেন না শিরোপা জয়ী দলের তহুরা, মারজিয়া, আনাই , আনু চিং, রিতু পর্না, নীলা, মণিকা, মারিয়া, আঁখি ও বড় শামসুন্নাহার। তাদের ভারতে নেয়া সম্ভব না হলেও অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ জয়ী দলের রিপা, প্রান্তি, ছোট শামসুন্নাহার, স্বপ্না রানী, কোহাতি কিসকু সোহাগী কিসকু, উন্নতি খাতুনরা নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে। তাদের সাথে দলে যোগ দেবেন ইনজুরি কারিয়ে ফেরা ফরোয়ার্ড সাজেদা। দলে চান্স পাবেন গোলরক্ষক ইতি খাতুন, রাইট ব্যাক ইতি খাতুন, আকলিমা, নাসরিন এবং নোশনরা। নাসরিনের সিনিয়র জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। গত সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে হংকংয়ের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে খেলেছেন তিনি।
কোচ ছোটনের মতে, ‘প্রতি টুর্নামেন্টই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। ভারতেও আমরা ভালো ম্যাচ উপহার দিতে চাই। সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রেরণা দলে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন দলের ১৩ জন আছেন।’ তহুরা, মণিকা, মারিয়া, রিতু পর্নারা না থাকলেও রিপা, সোহাগী, কোহাতি, নাসরিন, প্রান্তি এবং ছোট শামসুন্নাহারদের নিয়েই কোচের ভরসা।
করোনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি হবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছেই। এর পরও চলছে অনুশীলন। ক্যাম্পে সিনিয়র ফুটবলারদের সাথে ম্যাচ খেলা হচ্ছে। এতেই প্র্যাকটিস ম্যাচের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে, জানান কোচ।

 


আরো সংবাদ



premium cement