২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন টেলর

-

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য গোপন করায় নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) তাৎক্ষণিকভাবে না জানানোয় নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে চার পৃষ্ঠার এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন টেলর। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আইসিসি। টেলর জানান, স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-২০ লিগ চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে ভারতে ডেকেছিল এক ব্যবসায়ী। ভারতে আসার জন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারও দেয়া হয়, যা ছিল মূলত স্পট ফিক্সিং করার প্রথম ধাপ। আলোচনা শেষে রাতের পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন সেবন করিয়ে ভিডিও ধারণ করে পরে ব্ল্যাকমেইলিং করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় টেলরকে। তিনি যোগ করেন ‘দুশ্চিন্তা যে হয়নি, সেটি বলবো না। তবে সে সময়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট থেকে প্রায় ছয় মাসের বেতন পাইনি। জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারব কিনা সেটিও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে ভারতে গেলাম, কথামতো আলোচনা হলো। নৈশভোজের পর মদ্যপান করেছিলাম। এমন সময় প্রকাশ্যে কোকেন নেয়ার প্রস্তাব দিলে রাজি হই। সে রাতের ঘটনাপ্রবাহ মনে করে এখনো অসুস্থ বোধ করি এবং আমাকে কিভাবে বোকা বানিয়েছিল। পরদিন সেই মানুষগুলো আমার হোটেল রুমে এসে কোকেন নেয়ার ভিডিও দেখায়। এরপর বলা হয়, আমি যদি তাদের কথা মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্পট ফিক্সিং না করি, তাহলে তারা এ ভিডিও জনসম্মুখে ছেড়ে দিবে এবং আমি ফেঁসে যাই।’ ‘এরপর আমাকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে বলা হয়, এটা স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য অগ্রিম। বাকি কাজ শেষ হলে অতিরিক্ত ২০ হাজার মার্কিন ডলার দেয়া হবে। আমি টাকাটা গ্রহণ করি, কারণ আমি যেন ভারত ছাড়তে পারি। বাড়ি ফেরার পর আমার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। এই অপরাধের বিষয়ে আইসিসিতে রিপোর্ট করতে আমার চার মাস সময় লাগে। আমি স্বীকার করি, সময়টা বেশি লগেছিল। ভেবেছিলাম পরিবারের সবাইকে রক্ষা করতে পারব। নিজের ইচ্ছায় আইসিসির কাছে গিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা বুঝতে পারেনি। তবে এক্ষেত্রে নিজের অজ্ঞতার কথা বলে আমি পার পাবো না। দুর্নীতিবিরোধী অনেক সেমিনারে ছিলাম আমি, আমরা জানি, কখন রিপোর্ট করতে হয়।’ ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর সাকিবের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাবার ঘটনাটি বিশ^ ক্রিকেটে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইসিসি থেকে দু’বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব। এর মধ্যে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement