উইকেটের দুর্নাম থাকলই
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
যতই বলা হলো বিপিএলে স্পোর্টিং উইকেট থাকবে। ম্যাচের দিন তা কোনো কাজে আসেনি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে যে কারসাজির উইকেট বানিয়ে জিতেছে বাংলাদেশে। ঠিক তেমন উইকেটই হলো বিপিএলে। ওই সময় না হয় নিজেদের মান বাঁচাতে, ভুয়া আত্মবিশ্বাস জোগাতে প্রশ্নবিদ্ধ উইকেট ছিল। যার খেসারত দিতে হয়েছে বিশ্বকাপে। কিন্তু বিপিএলে কার স্বার্থে এমন উইকেট। ফ্র্যাঞ্চাইজির ছয় অধিনায়কই বলেছেন স্পোর্টিং উইকেটের কথা। উদ্বোধনী দিনে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। উইকেটে রান নেই। রান খরার দুর্নাম নিয়েই শুরু হলো বিপিএলের অষ্টম আসর।
করোনায় মাঠে দর্শক নেই। খা খা করছে গ্যালারি। একটি বাউন্ডারির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিল টিভির সামনে বসে থাকা দর্শকদের। উদ্বোধনী দিনে স্বরূপে ধরা দিয়েছে মিরপুর শেরেবাংলার উইকেট। বরাবরই ম্যাচের উত্তেজনা ছাপিয়ে আলোচনা আসে ধীরগতির ঘূর্ণি উইকেট। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজেও চরম মূল্য দিতে হয়েছে। সেই সিরিজ শেষ হওয়ার ৪৩ দিন পর মিরপুরে আবারো ফিরেছে ক্রিকেট। টি-২০ রানের খেলা, চার-ছক্কার খেলা। কিন্তু মিরপুরে কার্যত এটি বিফল।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা চার মেরেছেন ৮টি, ছক্কা ৬টি। এর মাঝে ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েলই হাঁকিয়েছেন ৩টি করে। দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন এমন ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ স্ট্রাইট রেট ২০ বলে ৪১ করা বেনি হাওয়েলের (২০৫.০০)। এই উইকেট যে ব্যাটিং প্রতিকূল নয়, তার প্রমাণ যেন বেনি হাওয়েলের ইনিংসটাই। আর কোনো ব্যাটার তো বিশের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। ইংলিশ ব্যাটারের শেষের ওই ঝড়ে চট্টগ্রামের স্কোর ৬.২৫ রেটে ৮ উইকেটে ১২৫ রান। ফরচুন বরিশালের ব্যাটিং ইনিংসেও একই চিত্র। প্রথম ১০ ওভারে করেছে ২ উইকেটে ৫৫ রান। সাকিব ও শান্ত দু’জনই বাজে শটে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন। ১২৫ রান তাড়া করতে তাদের লেগেছে ১৮.৪ ওভার। দুই অঙ্ক ছোঁয়া ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট জিয়াউরের ১৫৮.৩৩। ১৬ রানে ৪ উইকেট মিরাজের করা ১৫তম ওভারটিই যা একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
উইকেট ভালো ব্যাটাররা পারেননি : মিরাজ
শেরেবাংলার উইকেটের সমালোচনা আছে বিশ্বজুড়ে। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচটি হয়েছে লো স্কোরিং। ৪ উইকেট হারের পর উইকেটের দোষ দেখছেন না চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, ‘উইকেট একটু স্পিন করলেও ভালো ছিল। ও রকম খারাপ ছিল না। আমরা ব্যাটাররাই ফেল করেছি। ব্যাটাররা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে ভালো হতো। দায়িত্ব নিয়ে খেললেই ভালো করা যায়। ভালো সব ক্রিকেটার এখানে খেলছে। সামনে অনেক ম্যাচ আছে। ইনশা আল্লাহ, সবাই ভালো করবে।’
৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রানে মিরাজের শিকার ৪ উইকেট। দলের হারে নিজের এই অর্জন নিয়ে সন্তুষ্ট নন মিরাজ, ‘নিজে যতই ভালো খেলি না কেন, টিম খারাপ খেললে সেটার দাম থাকে না। নিজেরও ভালো লাগে না। দল যদি জিতত তা হলে ভালো লাগত। টি-২০তে আসলে রান করতে হবে। বেশি রান করতে পারলে বোলারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। আমরা ২০-২৫টা রান কম করেছি। প্রথম দিকে দ্রুত উইকেট পড়ায় রানটা কাভার হয়নি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা