২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাফল্য কি পাবেন কাবরেরা?

-

জেমি ডে’র মতো মাসের পর মাস নিজে দেশে বসে থাকার ছুটি নেই হাভিয়ার কাবরেরার। অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাফুফে এবার কাবরেরার সাথে চুক্তিই করেছে বাংলাদেশে থেকেই কাজ করার। বছরে তার ছুটি ১০ দিনের। আজ থেকেই এক অর্থে কাজে নেমে পড়ছেন এই স্প্যানিশ কোচ। আজ তিনি যাবেন ঢাকা আবাহনী ক্লাবের অনুশীলন দেখতে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অন্য ক্লাবগুলোর অনুশীলন দেখবেন তিনি। অতি উৎসাহে ইংলিশ কোচ জেমি ডে-কে অব্যাহতি দেয়া। আশা করা হয়েছিল অস্কার ব্রুজনে সাফল্য আসবে সাফে। কিন্তু জেমির পথেই হাঁটলেন ব্রুজন। জেমি ২০১৮ সাফের তিন ম্যাচে দুই জয় এনে দিয়েছিলেন। অস্কারের দল চার ম্যাচে পেয়েছিল একটি জয়। এরপর মারিও লেমসের অধীনে শ্রীলঙ্কার চার জাতি ফুটবলেও ব্যর্থতা। তিন ম্যাচের মাত্র একটিতে বিজয়ের হাসি। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। তিন মাসে জাতীয় দলে তিন কোচেও এলো না সাফল্য। এখন নতুন প্রত্যাশা কাবরেরাকে ঘিরে। প্রশ্ন হচ্ছে এই ৩৭ বছরের ইংলিশ কোচ কি পারবেন লাল-সবুজদের ট্রফি এনে দিতে।
বাফুফে অবশ্য এখন আর ট্রফি জয়ের কথা বলে না। তাদের লক্ষ্য অন্তত সাফ ফুটবলের ফাইনালে খেলা। যা ২০০৫ সালের পর আর খেলা হয়নি। জেমি ডে এবং অ্যান্ড্রু অর্ডের মতো কাবরেরারও প্রথম জাতীয় দল বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই ভারতের ক্লাব ফুটবলে কাজ করা এই কোচ চেষ্টা করবেন জামালদের জিতিয়ে তার ক্যারিয়ারটা উন্নত করতে। তবে তার এ লড়াই যাদের নিয়ে তারা কি পারবেন কোচের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সফল হতে। প্রতি দলে চারজন করে বিদেশী। এতে জাতীয় দলের ফুটবলারদের বসে থাকতে হয় সাইড বেঞ্চে। একাদশে খেললেও তা ভিন্ন পজিশনে। স্ট্রাইকার হয়ে যান ডিফেন্ডার। ফরোয়ার্ড লাইন ছেড়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় মিডফিল্ডে। জাতীয় দলের ফুটবলারদের ক্লাব ফুটবলে এই পজিশন পাল্টে খেলাই করুণ পরিণতি লাল-সবুজ জার্সিতে।
একজন ফরোয়ার্ড যদি ডিফেন্ডার হয়ে যায় ক্লাব ফুটবলে এবং পরে তিনি যদি জাতীয় দলেও ডিফেন্স পজিশনে খেলেন তাহলে তিনি পেনাল্টির জন্ম দেবেনই। ক্লাব ফুটবলে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতে না পেরে গোল খরায় ভোগা। জাতীয় দলেও তিনি জালের সন্ধান পাবেন না। তখন জেমিসহ জাতীয় দলের অন্য কোচের মতো কাবরেরাকেও বলতে হবে, ক্লাবে ফুটবলাররা ভিন্ন পজিশনে খেললে জাতীয় দলকে কিভাবে সাফল্য দেবে। তাছাড়া মানসম্পন্ন ফুটবলারেরও ঘাটতি।
মূল কথা হলো দেশী ফুটবলারদের খেলার সুযোগ দিতে হবে ঘরোয়া ফুটবলে। তবেই প্রতিভা বের হবে। সাইড বেঞ্চে বসে নয়। এরা ঘরোয়া ফুটবলে খেলতে না পারলে এভাবে কোচ বদল আর হাতাশার কাহিনী চলতেই থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement