২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পুরস্কারের টাকা কবে পাবেন ২ কৃতী বক্সার

-

‘না, আপনি বলতে পারেন না আমি হেরে গেছি। আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছিল।’ ১৯৯৩ সালের ঢাকা সাফ গেমসে রৌপ্য পাওয়া বক্সার রুহুল আমিন হাওলাদারের আজো ঝাঁজালো কণ্ঠে প্রতিবাদ। সেই সাফ গেমসে ৪৮ কেজির লাইট ফ্লাইট ওয়েটের ফাইনালে পাকিস্তানি বক্সারের প্রতিপক্ষ ছিলেন তিনি। রিংয়ের লড়াইয়ে জয়টা তার হলেও জাজরা স্বর্ণপদক দিয়ে দেন পাকিস্তানি বক্সারকে। অভিযোগ আছে সে সময়ের এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি পাকিস্তানের প্রফেসর আনোয়ার চৌধুরীকে খুশি করতেই জাজদের এই পক্ষপাতিত্ব। ফাইনালের রেজাল্ট ঘোষণার পর রুহুল আমির তো প্রথমে আসতেই চাননি পদক প্রদান মঞ্চে। জাতীয় বক্সিং দেখতে গতকাল মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে আসা রুহুল আমিন যখন এই অভিযোগগুলো করছিলেন তখন তার পাশেই গ্যালারিতে বসা আরেক বক্সার ইব্রাহিম মণ্ডল। তাকেও অন্যায় করে দেয়া হয়নি স্বর্ণপদক। ১৯৯৩-এর সাফ গেমস ফাইনালে ৮১ কেজির মিডল ওয়েট বক্সিংয়ে তাকেও বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। নেপথ্য, প্রতিপক্ষ যে আরেক পাকিস্তানি বক্সার। অভিযোগ ইব্রাহিমের। সেই স্বর্ণপদক বঞ্চিত হওয়ার কাহিনীর সাথে যুক্ত এই দুই বক্সারের রৌপ্য জয়ের পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে না পাওয়ার কষ্ট। কাল দু’জনই আক্ষেপ করে জানান, আমরা কি আদৌ সেই পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবো না।
গুঞ্জন আছে রুহুল আমিনের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছিল, তাতে ভারসাম্য আনার জন্যই পরের ইভেন্টে স্বর্ণজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় বর্তমানে কানাডা প্রবাসী বক্সার মোজাম্মেলকে। সেই সাফ গেমসে (বর্তমানে এসএ গেমস) বাংলাদেশের প্রত্যেক স্বর্ণজয়ীকে এক লাখ , রৌপ্য জয়ীদের ৫০ হাজার এবং ব্রোঞ্জ পাওয়াদের ২৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। কিন্তু সে টাকা আজো জোটেনি রুহুল আমিন আর ইব্রাহিম মণ্ডলের ভাগ্যে। তৎকালীন বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সেই টাকা পাননি দেশকে পদক এনে দেয়া এই দুই ক্রীড়াবিদ। অভিযোগ তাদের। বর্তমানে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন রুহুল আমিন ও ইব্রাহিম।
রুহুল আমিন হাওলাদারের সেটাই ছিল প্রথম ও শেষ সাফ গেমস। তবে ৭৫ কেজির মিডল ওয়েট বক্সার ইব্রাহিম মণ্ডল আরো তিনটি সাফ গেমসে অংশ নেন। ১৯৮৭ এর কলকাতা, ১৯৮৯ এর ইসলামাবাদ ও ১৯৯১ এর কলম্বো সাফ গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ছিল তার। কলকাতা ও ইসলামাবাদ সাফ গেমসে ব্রোঞ্চ পদক পান তিনি। অল্পের জন্য পদক জেতা হয়নি ১৯৯০-এর বেইজিং এশিয়ান গেমসে। হয়েছেন চতুর্থ। রুহুল আমিন ১৯৯৪-এর হিরোশিমা এশিয়াডে অংশ নেন। হারেন তুমুল ফাইট করে। রুহুল আমিনের দু’টি স্বর্ণ আছে ভারতের মাটিতে। ১৯৯৪ সালে কলকাতার পিএল রায় বক্সিংয়ে এ সাফল্য তার। এ জন্য সেনাবাহিনী থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং একটি সনি টেলিভিশন পান তিনি। বক্সিং ফেডারেশন সভাপতি আমিন আহমেদ চৌধুরী দিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। জানান এই তথ্য।
রুহুল আমিন জানান, আমি একদিন তখনকার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকাকে পেয়ে উনার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম পাওনা টাকার কথা। উনি বলেছিলেন, ‘টাকা রেডি আছে।’ কিন্তু আজো পাইনি সেই অর্থ।
’৯৩-এর সাফ গেমসে ফাইনালে ওঠার পথে রুহুল আমিন পরাজিত করেন নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বক্সারকে। আর ইব্রাহিম মণ্ডল সেমিতে কুপোকাত করেন ভারতের বক্সারকে। ‘সেই জয়ের পর সাত-আট দর্শক আমাকে কাঁধে করে স্টেডিয়াম থেকে সোনারগাঁও হোটেলে নিয়ে যান।’ জানান ইব্রাহিম। বর্তমানে রাজশাহীতে থাকেন তিনি। ১৯৯০ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম তিনি আসেন বক্সিং স্টেডিয়ামে। রুহুল আমিন অবশ্য বক্সিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন সেনাবাহিনীতে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য বেনাপোল সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক ৪ বিভাগে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি!

সকল