২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কে হচ্ছেন সাদমানের সঙ্গী

-

চট্টগ্রাম টেস্টটা মোটেই ভালো যায়নি সাইফ হাসানের। তবে ঢাকা টেস্ট দলে ডাক পেলেও টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মাঠে নামার সুযোগটা পাচ্ছে না তিনি। চট্টগ্রাম থেকে দলের সাথেই ঢাকায় ফিরেছেন সাইফ। তবে এরপরই জৈব সুরক্ষাবলয় ছেড়ে নিজ বাসায় চলে গেছেন। সাইফ ছিটকে যাওয়ায় আপাতত বাংলাদেশ দল দাঁড়াল ১৯ জনের। চট্টগ্রামে সাইফের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন সাদমান ইসলাম, তিনে খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন। এবার ওপেনিংয়ে জুটি কে হবেন সেটিও একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসে সাইফ করেছেন ১৪ ও ১৮ রান। দু’বারই আউট হয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদির শট বলে ক্যাচ দিয়ে। এ ধরনের বলে সাইফের টেকনিকও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ২০২০ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া সাইফ এখন পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট খেলেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষেই সীমিত ওভারের অভিষেকে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের আগে হঠাৎ করেই দলে ডাক পান সাইফ। প্রথম দুই ম্যাচে করতে পেরেছেন এক রান।
ঢাকা টেস্টে সাইফের জায়গায় নতুন কাউকে নেয়া হবে কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত করেনি বিসিবি। এমনিতেও এ টেস্টের জন্য ২০ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা মোহাম্মদ নাঈম। ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান।
আপাতত তিনটি বিকল্প আছে বাংলাদেশ দলের জন্য। সাদমানের সাথে ইনিংস শুরু করতে পারেন মাহমুদুল হাসান জয়, মোহাম্মদ নাঈম শেখ কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনজনের যে কেউ সুযোগ পেলেই তা হবে নতুন অভিজ্ঞতা। মাহমুদুলের এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাওয়া হয়নি, নাঈম খেলেননি টেস্ট ক্রিকেট। শান্ত ১০ টেস্ট খেললেও কখনো ওপেন করেননি।
ঢাকা টেস্ট দলে বড় চমক বাঁ হাতি ব্যাটার নাঈমের ডাক পাওয়া। গত ২১ মাসে প্রথম শ্রেণীর সংস্কারণে কোনো ম্যাচ খেলেননি। সাধারণ সমীকরণে সাইফের জায়গাটা নেয়ার লড়াই হওয়ার কথা মাহমুদুল ও নাঈমের। চোট কাটিয়ে ফেরা সাকিব ফেরায় হয়তো একজন ব্যাটসম্যানকেই বাদ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে শান্তকে তিন থেকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বিসিবির ভিডিও বার্তায় জানান, ‘চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসেই টপঅর্ডার ব্যর্থ। এখান থেকে আমাদের ওপেনাররা অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। ঢাকা টেস্টে কারা ওপেন করবে জানি না। সাদমান প্রথম পছন্দ। মাহমুদুল জাতীয় লিগে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। শান্ত শ্রীলঙ্কার পর জিম্বাবুয়েতেও ছিল।’
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটিং ও বোলিং কোনোটাতেই নতুন বল সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে চার উইকেট হারায়। ঢাকা টেস্টে নতুন বলে দুই বিভাগেই উন্নতি দেখতে চাইলেন সাবেক পেসার মিজানুর, ‘ব্যাটিং ও বোলিংয়ে যদি নতুন বলটা যদি আরেকটু ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে খুব ভালো হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement