২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওপেনার ও নিজেকে দুষলেন মুমিনুল

-

টেস্টে বলার মতো অনেক কিছুই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে দ্রুত চার উইকেট পড়ার পর মুশফিকুর রহীম আর লিটন দাসের লড়াই। ২০৬ রানের জুটি, লিটনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি (১১৪), মুশফিকের ৯১। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। দুই ওপেনার সাদমান ও সাইফ হাসানের সাথে ব্যর্থতার মিছিলে যুক্ত ছিলেন নাজমুল এবং খোদ অধিনায়ক মুমিনুল। ভরসার বড় জায়গা অধিনায়ক দুই ইনিংস মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। প্রথম ইনিংসে ৬, দ্বিতীয় ইনিংসে ০।
মুমিনুল বলেন, ‘শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত। চার নম্বরে আমি একটা বড় ইনিংস খেলতে পারলে দৃশ্যপট অন্য রকম হতে পারত। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই যদি ৪ উইকেট চলে যায় তাহলে মোমেন্টাম ধরে রাখা কঠিন। এরপর ২০০ রানের পার্টনারশিপ হলেও দিনশেষে হয়তো ৩০০ রান হবে। এমন উইকেটে ৩৩০ রান করে লড়াই সহজ।’
তিনি আরো বলেন, ‘খেলার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে আমাদের ব্যাটাররা। আমরা দুই ইনিংসে ৪৯ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছি। অর্ধেক খেলা এখানেই শেষ।’
প্রথম ইনিংসে ছিল ৩৩০ রান। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তাইজুলের ৭ উইকেট শিকারে ৪৪ রানের লিড এনে দিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আবার টপঅর্ডারের ব্যর্থতা। অধিনায়ক মুমিনুল চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দুই ইনিংসেই প্রথম ঘণ্টার গলদ দেখছেন মুমিনুল, ‘আমি মনে করি, দুই ইনিংসেই প্রথম ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে হেরেছি। যদি আমরা দুই ইনিংস মিলিয়ে আরও ১০০ রান তুলতে পারতাম, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।’
শাহিন শাহ আফ্রিদিও বোলিং তোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের টপঅর্ডার। মুমিনুল এখন নতুন বলেও ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগাদা দিচ্ছেন, ‘নতুন বলে আমাদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি করতে হবে।’
দ্বিতীয় ইনিংসেও লিটন দারুণ করেছেন। মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার আগে সঙ্গ দিয়েছেন অভিষিক্ত ইয়াসির। তার ৭২ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটির ছিল সম্ভাবনার। কিন্তু হতাশ করেছে ইয়াসিরের ‘কনকাশন বদলি’ নুরুল হাসানের দায়িত্বজ্ঞানহীন শট। মুমিনুলের কথায়, ‘লিড যখন ১৯৭, তখন ভালো খেলতে খেলতেই নুরুল সাজিদ খানের বলে বেরিয়ে এসে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন। নুরুল একটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে, লিডটা আড়াই শ’ বা তার চেয়েও বেশি হওয়াটা অসম্ভব ছিল না।’


আরো সংবাদ



premium cement