১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাভার্স-নাইন্টিজের রেকর্ডে মুশফিক

-

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বমোট আটবার নাভার্স নাইন্টিতে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহীম। পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল চট্টগ্রামে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯১ রানে আউট হন মুশফিক। এই নিয়ে ৭৬ টেস্টে চারবার নাভার্স-নাইন্টিতে থামলেন তিনি। আর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা আটবার, যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। টেস্টেও সর্বোচ্চ চারবার নাভার্স-নাইন্টিতে থামার রেকর্ড মুশফিকের দখলে।
মুশফিকের মতো টেস্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারবার নাভার্স-নাইন্টিতে থেমেছেন সাকিব। আর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাতবার। এতে মুশফিকের পরেই আছেন সাকিব। এরপর আছেন তামিম ইকবাল। টেস্টে তিনবার, আর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বমোট ছয়বার নাভার্স-নাইন্টিতে থামেন তামিম। টেস্টে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি নাভার্স-নাইন্টিতে থেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ, ভারতের রাহুল দ্রাবিড় ও শচিন টেন্ডুলকার। তিনজনই ১০ বার করে নাভার্স-নাইন্টিতে আউট হয়েছেন। আর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৮ বার নাভার্স-নাইন্টিতে থামেন টেন্ডুলকার।
চট্টগ্রাম এক অর্থে মুশফিকুরের জন্য লাকি গ্রাউন্ড। এ ভেনুতেই টেস্টের রাজা মুশফিক। মুমিনুলকে টপকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বাধিক রান এখন মুশফিকের (১৮ টেস্টে ১২৮৫ রান, গড় ৪১.৪৫)। এই রেকর্ডটি করেছেন চলমান টেস্টের প্রথম দিনে । টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন চার বছর সাত মাস পর। অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৭তম টেস্ট পর্যন্ত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরি এই স্টেডিয়ামেই।
এখান থেকে পেতে পারতেন আরো তিনটি সেঞ্চুরি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির একটিকে পরিণত করতে পারতেন সেঞ্চুরি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ রানের জন্য হাতছাড়া করেছেন সেঞ্চুরি। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রানে থেমেও কষ্ট পেয়েছেন মুশফিক।
গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনার জানান দিয়ে নার্ভাস নাইনটিজের ঘরে আটকে গেছেন মুশফিক। ফাহিম আশরাফের পঞ্চম ডেলিভারিতে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ৯১ রানে। ব্যাটে, না প্যাডে লেগেছে তা নিয়ে সন্দিহান থাকায় রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল যখন মুশফিকের ব্যাট অতিক্রম করছিল তখন তার ব্যাট প্যাডের সাথেও লেগে ছিল। আল্ট্রাএজে স্পাইক দেখা যাওয়ায় ইংলিশ ফিল্ড আম্পায়ার মিচেল গফের সিদ্ধান্ত যথার্থ বলে রায় দিয়েছেন টিভি আম্পায়ার গাজী সোহেল। ৩৪৯ মিনিটের ইনিংসে ২২৫ বলে ১১টি চারে ৯১ রানে ফিরেছেন মুশফিক।
২০১৩ সালে হারারেতে সাত রানের কষ্ট বাদ দিলে বাকি তিনবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হতাশা। সব মিলিয়ে আটবার। টেস্টে হোমে এত দিন সর্বাধিক রানের রেকর্ড ছিল তামিমের (৭০ ইনিংসে ২৬২০ রান)। তামিমের অনুপস্থিতিতে হোম রেকর্ডে তাকে টপকে গেছেন মুশফিক (৭৮ ইনিংসে ২৬৭৩ রান)। আর মাত্র এক রান হলেই টেস্টে তামিমকে (৬৪ টেস্টে ৪৭৮৫ রান) টপকে শীর্ষে থাকতেন মুশফিক।


আরো সংবাদ



premium cement
ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

সকল