২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শ্রীলঙ্কায় ট্রফি চান লেমস

-

মাত্র একটি আসরের জন্য জাতীয় দলের হেড কোচ। টুর্নামেন্ট শেষেই ফিরে যাবেন ক্লাব কোচিংয়ে। মাঝের এই সময়ে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করাতে চান শ্রীলঙ্কার চার জাতি টুর্নামেন্টে। লাল-সবুজ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন অন্তর্বর্তী কোচ মারিও লেমস জানানেল তার এ লক্ষ্যে কথা। ৮-১৭ নভেম্বর এই টুর্নামেন্ট শেষেই ফিরে যাবেন ঢাকা আবাহনীর কোচিংয়ে। তিন বছর ধরে ক্লাবটির দায়িত্বে এই পর্তুগিজ।
দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। সে দেশের মাটিতে তাদের বিপক্ষে গত ১৩ বছরে কোনো ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। আসরের অপর প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। যাদের কাছে এবারের সাফেও নাস্তানাবুদ হওয়া লাল-সবুজদের। কোনো ধরনের চান্স তৈরি করতে না পেরে উল্টো ০-২ গোলে হার। ২০০৩ সালের পর মালদ্বীপের বিপক্ষে নেই জয়ের রেকর্ড। সর্বশেষ চার দেখাতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজ জয় দিভেহীদের। এই বাস্তবতায় কি মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা দেখা পাবে জামাল ভূঁইয়ারা? কোচ লেমসের মতে, অতীত নিয়ে ভেবে লাভ নেই। অতীত অতীতই। এই দুই দলের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমি। তা ছাড়া জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েইতো মাঠে নামতে হবে।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে লেমসের বক্তব্য, ‘লঙ্কানরা ভালো দল। শারীরিকভাবে টাফ। তবে বাংলাদেশ দলে মানসম্পন্ন ফুটবলার আছে। আমরা কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কাকে খেলতে দেবো না।’ স্ট্রাইকার সমস্যায় ভুগছেন জামালরা। এবারের সাফে সেট পিচ ছাড়া গোল পায়নি তারা। এ স্ট্রাইকার সঙ্কট সম্পর্কে নতুন এই কোচের জবাব, ‘বাংলাদেশ দলে আসলেই কোনো সেন্ট্রার ফরোয়ার্ড নেই। তবে দলে এমন কয়েকজন ফুটবলার আছেন যারা ওই পজিশনের পেছনের থেকে এসে চান্স তৈরি করতে পারে। বক্সে বল পেলে তারাও গোল করতে দক্ষ।’
নিজের স্ট্র্যাটিজি সম্পর্কে বলেন, ‘জয়ের জন্যই খেলব। অতি আক্রমণাত্মকও নয়। আবার অতি রক্ষণাত্মকও নয়। এই দুইয়ের সমন্বয় ঘটবে। মোদ্দাকথা জয়ের জন্য যা যা করার দরকার, তাই করব।’ সাথে উল্লেখ করেন, ‘আসরে প্রতি ম্যাচের পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। সবার আগে জরুরি জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা।’
সাফ ফুটবল শেষ করা বাংলাদেশ দলের সব ফুটবলারকেই ডাকা হবে লঙ্কার ট্যুরের জন্য। সাথে কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কেও ডাকা হবে। তথ্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ে করা এই কোচ। আজ ক্যাম্পে উঠবেন ফুটবলাররা।

 


আরো সংবাদ



premium cement