২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুপুরের ম্যাচে বাংলাদেশের সুবিধা

-

বাংলাদেশ সময় গতকাল বিকেল ৫টায় দুবাই রওনা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। তবে দলের সাথে হাবিবুল বাশারের যাওয়া নিশ্চিত নয়। ভিসা জটিলতায় তার যাওয়া পিছিয়ে যেতে পারে। তবে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দল সুপার টুয়েলভের ‘ভিসা’ পেয়ে গেছে, এতেই খুশি দলের সাথে থাকা এই নির্বাচক। পরের পর্ব নিয়েও একটি জায়গায় বড় আশার ছবি দেখছেন তিনি। বাংলাদেশ দলের সব ম্যাচই হবে যে দুপুরে!
বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ে পা রাখার পর মূল আলোচনা চলছে গ্রুপ নিয়ে। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে পরের ধাপে ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের গ্রুপে পড়তে হতো। কিন্তু দ্বিতীয় হয়ে পরের পর্বে যাওয়ায় এখন বাংলাদেশের গ্রুপ সঙ্গী ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাথে আছে প্রথম রাউন্ড উতরিয়ে ওঠা শ্রীলঙ্কা।
খালি চোখে সাধারণ ক্রিকেট সমীকরণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনে ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের গ্রুপকে এড়িয়ে একটু স্বস্তিই পাওয়ার কথা। তবে হাবিবুল বাশার এখানে বাড়তি স্বস্তির কিছু দেখছেন না। তিনি বরং খুশি ম্যাচগুলোর সময় নিয়ে।
সুপার টুয়েলভে ১ নম্বর গ্রুপে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের সব ক’টি আবুধাবির সময় ২টায়। রাতের ম্যাচে এখানে শিশির ভেজা বলে বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে ওঠে, বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য বল গ্রিপ করাই হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিন। গণমাধ্যমকে হাবিবুল বলেন, ‘মূল রাউন্ডে যে গ্রুপই পড়তাম, কঠিনই হতো। কোনো গ্রুপই সহজ নয়। সব দলই কঠিন, সবাই ভালো দল। এখানে আসলে ওরকম পছন্দ করার কিছু নেই। জিততে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, তা যে গ্রুপেই আমরা পড়ি।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘একটা সুবিধা হয়েছে এই গ্রুপে, আমাদের খেলাগুলো দুপুরে। দুপুরে খেলা হলে এতে স্পিনাররা সুবিধা পাবে। রাতে স্পিন কম ধরে তাই দুপুরে খেলা আমাদের জন্য ভালোÑ এটাই একটা বাড়তি সুবিধা মনে হচ্ছে।’
প্রথম ম্যাচের পর তো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কাই ঘিরে ধরেছিল প্রবলভাবে। ওমানে প্রস্তুতি পর্ব থেকেই দলের সাথে থাকা হাবিবুল স্বীকার করলে, তারাও ভীষণ চাপে ছিলেন। পরের রাউন্ডে এত চাপ থাকবে না বলেই ভালো কিছুর আশা বেশি তার।
এ নির্বাচকের মতে, ‘স্বস্তির তো বটেই। প্রথম ম্যাচ আসলেই একটা ধাক্কা ছিল। প্রচণ্ড চাপে ছিলাম আমরা সবদিক থেকেই। চাপে থাকার জন্যই হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচ ঠিক নিজেদের মতো খেলতে পারিনি। শেষ ম্যাচটা বরং অনেক নির্ভার হয়ে খেলতে পেরেছি। যে জন্য অনেক কাছাকাছি যেতে পেরেছি (নিজেদের সেরাটার)। দ্বিতীয় রাউন্ডে নিশ্চিতভাবেই এত চাপ আমাদের ওপর থাকবে না এবং আমরা মোটামুটি ভালো খেলছি, এখন পরিস্থিতি অনুযায়ী।’

 


আরো সংবাদ



premium cement