২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জিশানের রেকর্ড : জিতল ওমান

-

টি-২০ বিশ্বকাপের শুরুটা হেসে খেলেই করল ওমান। পাপুয়া নিউগিনিকে (পিএনজি) ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ১৩০ রানের লক্ষ্য দিলেও কোনোভাবেই প্রতিপক্ষকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি প্রথমবার বৈশ্বিক মঞ্চে খেলতে নামা পিএনজি। উল্টো কোনো উইকেট না হারিয়ে বল হাতে অধিনায়ক জিশানের রেকর্ডে টি-২০ তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার নজির গড়েছে ওমান।
বোলিংয়ে এসেই প্রতিপক্ষ পিএনজির অধিনায়কের ঝড়ের মুখে পড়েন জিশান মাকসুদ। পরে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান ওমান অধিনায়ক। চার উইকেট নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে গড়েন দারুণ এক কীর্তি। উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে বল হাতে চার ওভারে ২০ রান খরচায় নেন চার উইকেট। টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে অধিনায়কদের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডে তিনি বসেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পাশে। ২০০৭ আসরে ভারতের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার।
বাঁ হাতি এই স্পিনার ১৩তম ওভারে আক্রমণে এসে শেষ দুই বলে আসাদ ভালার চার-ছক্কায় দেন ১১ রান। ১৬তম ওভারে ফিরে করেন দুর্দান্ত বোলিং। ওই ওভারেই এক রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। প্রথম বলেই দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নরমান ভানুয়াকে। এক বল পর রিভার্স সুইপ খেলে থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ দেন সেসে বাউ। আর ওভারের পঞ্চম বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন কিপলিন ডরিগা। ১৮তম ওভারে আক্রমণে এসে ডেমেইন রাভুকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন চার উইকেট। লং অনে ক্যাচ দেন রাভু। সেই ওভার থেকে আসে তিন রান। আর ইনিংসের শেষ ওভারে পাঁচ বলে পাঁচ রান দিয়ে শেষ করেন নিজের স্পেল।
টস জিতে জিশান মাকসুদ শুরুতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছেন, তার যথার্থতা প্রমাণ করেছেন দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াসন ও জাতিন্দর সিং। ঝড়ো সূচনায় শুরু থেকে আসাদ ভালার দলকে শাসন করেছেন। জাতিন্দরের ৪২ বলে করা ৭৩ ও আকিব ইলিয়াসের ৪৩ বলে করা ৫০ রানই ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। বিশ্বকাপে ওমানের হয়ে প্রথম ফিফটি করেন জাতিন্দর। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও চারটি ছয়। ওমান কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ১৩.৪ ওভারে।
অবশ্য তাদের দু’জনের আগে আরো এক প্রথমে নাম জড়ান পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালা। এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি। টস হেরে ব্যাট করতে নামলেও আসাদ ভালো বলেছিলেন, শুরুতে ওমানকে চাপে ফেলতে চায় তারা। উল্টো স্বাগতিক ওমানই দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে তাদের বিপদে ফেলে দিয়েছিল। পিএনজি মূলত এরপর ছুটেছে আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনির দ্রুত গতির ব্যাটিংয়ে। ৮১ রানের এই জুটি ভাঙে আমিনির রান আউটে। ২৬ বলে ৩৭ রানে ফিরেছেন আমিনি। তাতে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়। আসাদ ভালা ৪০ বলে প্রথম ফিফটি করেন। ৪৩ বলে করেন ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। তাতে ছিল চারটি চার ও তিন ছয়। এর পর আর কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। সেসে বাউয়ের ১৩ রানই ছিল সর্বোচ্চ। তারা ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১২৯ রান।

 


আরো সংবাদ



premium cement