১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড্র ম্যাচে মিঠুনের স্বস্তি

-

জাতীয় দলে জায়গা হারানোর পর কেন্দ্রীয় চুক্তিরও বাইরে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে দরকার ছিল একটি বড় ইনিংস। অবশেষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের বিপক্ষে পেলেন সেঞ্চুরি। তাতেই স্বস্তি মিঠুনের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি ড্র হয় অনুমিতভাবেই। গতকাল শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেটে ৩৭১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ‘এ’ দল। এইচপির লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৮ ওভারে ৩৬৬। ৪০ ওভারে তারা তিন উইকেটে ১৪৮ রান তোলার পর বৃষ্টিতে ম্যাচ শেষ হয় ঘণ্টা দেড়েক আগেই। শেষদিনের প্রাপ্তি মিঠুনের সেঞ্চুরি আর সেঞ্চুরি না পাওয়ায় অতৃপ্ত ইয়াসির। শত রান থেকে ১৪ রান দূরে শেষ হয় তার ইনিংস।
৪৬ রান নিয়ে দিন শুরু করে মিঠুন ফিফটি স্পর্শ করেন ১২৬ বলে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আগের দিন ৬৫ রান করা ইয়াসির ছিলেন একটু সতর্ক। তার পরও সেঞ্চুরিটা হলো না। পেসার মুকিদুল ইসলামের লেংথ বল পুল করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হওয়ার আগে ১১৬ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৮৬ রান করেন। মিঠুন ৯২ রান থেকে তানভিরকে ছক্কা মারেন মাথার উপর দিয়ে। পরে ২০৬ বলে স্পর্শ করেন শত রান। সাত চার ও এক ছক্কায় মিঠুন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মুমিনুল।
৫৮ ওভারে ৩৬৬ রান করে ম্যাচ জয়ের সুযোগ এইচপি দলের ছিল না। শাহাদাত ও তৌহিদ হৃদয় অবশ্য দারুণ খেলছিলেন। তাদেরকে থামায় বৃষ্টি। ৬৭ বলে আট চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাহাদাত, পাঁচ চারে ২৬ বলে ২৭ হৃদয়।
দিনের নায়ক মিঠুন খেলা শেষে বললেন, ‘আমাদের এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল ম্যাচ অনুশীলন। এখন পর্যন্ত আমাদের ম্যাচ অনুশীলন খুবই ভালো হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে। রান করতে পেরেছি। এটা আমাকে সহায়তা করবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ : ২৩১ ও ১০৮.১ ওভারে ৩৭১/৬ (ডি.) (মিঠুন ১০১*, ইয়াসির ৮৬, ইরফান ৩৭, মুকিদুল ২/৩৫, রেজাউর ১/৩৯, তানভির ৩/৭৭)।
বাংলাদেশ এইচপি : ২৩৭/৮ ও (লক্ষ্য ৩৬৬) ৪০ ওভারে ১৪৮/৩ (পারভেজ ৪৩, মাহমুদুল ২৫, শাহাদাত ৪৪*, হৃদয় ২৭*; নাঈম ২/৪২, আবু জায়েদ ১/২০)।
ফল : ম্যাচ ড্র


আরো সংবাদ



premium cement