১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশকে ফাইনালে নিতে চান ব্রুজন

২৭ জনের দলে আছেন এলিটা কিংসলেও; ফিরলেন আশরাফুল রানা, জুয়েল রানা, বাদশা, ফাহাদ
-

নানা নাটকের পর শেষ পর্যন্ত আপাতত সাফ ফুটবল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিলেন অস্কার ব্রুজন। দায়িত্ব নিয়েই ২৭ সদস্যের নাম ঘোষণা এই স্প্যানিশ কোচের। বসুন্ধরার ১০ ফুটবলারকে রাখা হয়েছে সাফের দলে। এদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পাওয়া নাইজেরিয়ান এলিটা কিংসলে। যদিও এখনো তার বাংলাদেশ দলে খেলার ছাড়পত্র আসেনি ফিফা থেকে। দলে নতুন মুখ আবাহনীর মিডফিল্ডার হৃদয়। বসুন্ধরা কিংসের কোচ ছিলেন অস্কার। তার কৌশল বসুন্ধরার ফুটবলাররা সহজে বুঝতে পারবেন। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকেল ৪টায় শুরু হবে অস্কার ব্রুজনের বাংলাদেশ দলের প্রথম অনুশীলন। সাফে বাংলাদেশের সবসময়ই লক্ষ্য থাকে শিরোপা জয়। অস্কার স্পষ্ট করেই উল্লেখ করলেন, আমার লক্ষ্য সাফের ফাইনালে খেলা। সাথে জয়ে শুরু করতে চাই ১ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এবারের লিগে দেশী ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০টি করে গোল করেছেন জুয়েল রানা ও সুমন রেজা। তবে জেমির দলে উপেক্ষিত ছিলেন ঢাকা আবাহনীর জুয়েল। অস্কার তার দলে রেখেছেন এই উইংগারকে। নেপালের তিন জাতি ফুটবলের পর জেমি ডে বাদ দেন টুটুল হোসেন বাদশাকে। সাফের তালিকায় রয়েছেন আবাহনীর এই স্টপার ব্যাক। সেই আসরে কোনো ম্যাচ না খেলে বাদ পড়া গোলরক্ষক শেখ রাসেলের আশরাফুল ইসলাম রানাও ফিরে এসেছেন দলে। ফিরেছেন বসুন্ধরার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদও। জুয়েল রানার মতো ফাহাদও ২০১৯ সালের পর ডাক পেলেন। কিরগিজস্তানের তিন জাতি ফুটবলে খেলা দল থেকে বাদ গেছেন দুই প্রবাসী রাহবার, তাহিমদ ও স্থানীয় গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ফিরেছেন মানিক মোল্লা।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অস্কার ব্রুজনের বক্তব্য, ‘আমি লিগের সেরা পারফরমাফদেরই নিয়েছি। তালিকায় এখন ২৭ জন আছে। সেখান থেকে ২৩ জনের দল যাবে মালদ্বীপে। আমি ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলায় বিশ্বাসী। বসুন্ধরা কিংসকে এই ফরমেশনেই চ্যাম্পিয়ন করিয়েছি।’ তবে সাফে বাংলাদেশ দলকে দ্বিতীয় সারির দল বলে উল্লেখ করলেন অস্কার ব্রুজন। জানান, র্যাংকিংয়ের দিক থেকে সাফে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পেছনে শ্রীলঙ্কাই। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভারত , নেপাল ও মালদ্বীপ। কোচের মতে, র্যাংকিংয়ে অগ্রবর্তী হলেও শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে নয় মালদ্বীপ ও নেপাল। তাই আমার লক্ষ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করা। এরপর প্রায় সমশক্তির নেপাল ও মালদ্বীপকে হারিয়ে ফাইনালে খেলা। এই দুই ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি।’ জানান, আমি ফাইটার । জেতার জন্যই মাঠে নামব।
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা ফিনিশিং। স্ট্রাইকারের বড় অভাব। ব্রুজন জানান, এলিটা কিংসলে খেললে এই অভাব পূরণ হবে। সাথে ব্যাকআপ হিসেবে অন্য ফুটবলাররা আছেন। কোচ যোগ করেন, হাতে মাত্র সময় এক সপ্তাহ। খেলায় কিছু পরিবর্তন আসবেই। তবে অল্প সময়ে ৩৫ ফুটবলার নিয়ে ক্যাম্পের সুযোগ নেই। আমরা তিন জাতি প্রকৃতির টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি না। সাফ অরেক বড় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের জন্য। তাই ২৭ জনকে নিয়ে অনুশীলন।
হেড কোচের মতো অন্য কোচিং স্টাফেও পরিবর্তন এসেছে। বসুন্ধরা কিংসে অস্কারের সাথে বুঝাপড়া চমৎকার হওয়ায় মাহাবুব হোসেন রক্সি, আসিফুজ্জামানকে জাতীয় দলের সহকারী কোচ রাখা হয়েছে। গোলরক্ষক কোচও একই দলের নুরুজ্জামান নয়ন। আর ফিটনেস কোচের ভূমিকায় বসুন্ধরারই স্প্যানিশ জাভিয়ার সানচেজ। জেমির আমলের ফিটনেস কোচ ইভার রাজলক দলে থাকলেও তিনি মালদ্বীপ না গিয়ে ঢাকায় অবস্থান করা নাসিরুল ইসলাম, মারাজ হোসেনসহ অন্য ৯ জনকে ট্রেনিং করাবেন।
২৭ সদস্যের দল : রানা, জিকো, সোহেল, তপু, রেজা, রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, বিশ্বনাথ, তারিক কাজী, বিপলু, সুফিল, ইব্রাহিম, এলিটা কিংসলে, মতিন, ফাহাদ, সোহেল রানা, সাদউদ্দিন, জুয়েল রানা, বাদশা, রহমত জামাল, রাকিব, মানিক, রেজা, আতিকুজ্জামান, মেহেদী, হৃদয় ও সুমন রেজা।


আরো সংবাদ



premium cement