২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বাংলাদেশকে আরো আক্রমণাত্মক খেলতে হবে’

-


এবারই প্রথম বাংলাদেশে আসেন রবসন রবিনহো। অভিষেকেই বাজিমাত। এই ব্রাজিলিয়ান হয়েছেন ২১ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা। পেয়েছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এ সবই পূর্ণতা পায় তার দল বসুন্ধরা কিংস লিগ শিরোপা ধরে রাখায়। কুশলী এই মিডফিল্ডারের সাক্ষাৎকারে তার বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন রফিকুল হায়দার ফরহাদ

প্রশ্ন : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে খেলতে এলেন। কেমন হলো অভিজ্ঞতা?
রবিনহো : অভিজ্ঞতাটা চমৎকার। বাংলাদেশই হলো আমার প্রথম দেশ, যেখানে ব্রাজিলের বাইরে খেলতে এলাম। খুব ভালো লাগছে বসুন্ধরাকে ফেডারেশন কাপের পর প্রিমিয়ার লিগেও চ্যাম্পিয়ন করাতে পেরে। এখন আমি সম্পূর্ণ ফ্রেশ মন নিয়ে ব্রাজিলে ছুটি কাটাতে যেতে পারব। অনেক লম্বা সময় ধরে খেলার মধ্যে ছিলাম।
প্রশ্ন : আবার কি বসুন্ধরার জার্সি গায়ে দেখা যাবে আপনাকে?
রবিনহো : এখনো জানি না। আমার সাথেতো নতুন করে চুক্তি হয়নি।
প্রশ্ন : দলকে শিরোপা এনে দেয়ার সাথে আপনি হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন। এই তিন প্রাপ্তিতে কেমন লাগছে?
রবিনহো : অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ। দলের শিরোপা সাথে আমি সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছি। দলের অর্জনে আমার সক্রিয় অবদান থাকাতে ভালো লাগছে।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে কি এই প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া?
রবিনহো : না, ২০১৭ সালে সুদ কাপে আমি ১০ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলাম ফিগেরেইসে ক্লাবের জার্সি গায়ে।
প্রশ্ন : আপনি মিডফিল্ডার। এরপরও সর্বোচ্চ গোলদাতা হচ্ছেন। স্ট্রাইকার না হয়ে কি আফসোস হচ্ছে না? স্ট্রাইকার হলে তো আরো বেশি গোল করতে পারতেন?
রবিনহো : না না। স্ট্রাইকার না হতে পেরে আমার কোনো আফসোস নেই। আসলে স্ট্রাইকিং পজিশন আমার পছন্দের না। স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাটা বেশ কঠিন।
প্রশ্ন : এএফসি কাপ খেলে এলেন। বিপিএল ও এএফসি কাপের তুলনা কিভাবে করবেন?
রবিনহো : বিপিএলের চেয়ে এএফসি কাপ অনেক বেশি কঠিন। বসুন্ধরা কিংসতো বাজে রেফারিংয়ের কারণে এএফসি কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
প্রশ্ন : যে মালদ্বীপে বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপ খেলেছে, সেই দেশেই বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে সাফ ফুটবল। আসন্ন এই সাফে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন শিরোপা জয়ের ?
রবিনহো : বাংলাদেশের চান্স আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তবে এ জন্য বাংলাদেশকে আরো বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। আমিতো দেখেছি বাংলাদেশ দল শুধু রক্ষণাত্মকই খেলে। শিরোপা জিততে হলে আক্রমণ বাড়াতে হবে।
প্রশ্ন : অনেকেই বলাবলি করছে, প্রতি দলে চার বিদেশীর জন্য বিশেষ করে দেশী স্ট্রাইকাররা খেলতে পারছে না, উঠেও আসছে না নতুন ফরোয়ার্ড।
রবিনহো : দেখুন, বিদেশী ফুটবরার অবশ্যই লিগে খেলতে হবে। এটা ফুটবলের উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের কোন কোন ফুটবলারের খেলা আপনার পছন্দ হয়েছে।
রবিনহো : বসুন্ধরার তপু, জিকো, মতিন, বিশ্বনাথ, সুফিল, চট্টগ্রাম আবাহনীর রাকিব, ঢাকা আবাহনীর সোহেল রানার খেলা আমার ভালো লেগেছে। আরো কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের নাম মনে করতে পারছি না।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আপনার অভিমত কী?
রবিনহো : বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ। তবে মাঠের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। ফুটবলে এগোতে হলে অবশ্যই ম্যাচের ভেনু এবং প্র্যাকটিস মাঠ খুব উন্নত করতে হবে। সেই সাথে খেলতে হবে একাধিক মাঠে। এখানেতো এক মাঠেই খেলা হয়। আমার মনে হয় ফেডারেশনের ভেনু বৃদ্ধির বিষয়ে আরো সিরিয়াস হওয়া উচিত। তা ছাড়া প্রত্যেক ক্লাবের একাধিক বয়সভিত্তিক দলও থাকতে হবে।
প্রশ্ন : বিপিএলের অন্য কোনো কোনো দলকে আপনার কাছে শক্তিশালী মনে হয়েছে?
রবিনহো : ঢাকা আবাহনী, শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী শক্তিধর দল ছিল।
প্রশ্ন : এ দেশে অনেক মানুষ ব্রাজিলের সমর্থক। তাদের গায়ে ব্রাজিলের জার্সি দেখতে কেমন লাগে।
রবিনহো : বিষয়টি আমাদের দারুণ অনুপ্রাণিত করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement