২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভিন্ন ছকে উভয়েরই টার্গেট জয়

-

আইসিসি টি-২০ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে। ওয়ানডেতে ৭ এবং টেস্টে ৯। টি-২০ সংস্করণে শেষ দশটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র তিনটিতে। এর দু’টিই এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর যা-ই হোক, টি-২০তে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কখনোই খুব উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো নয়। বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষ হিসেবে কাগজে-কলমে মাঠে সবদিকেই শক্তিশালী। মিরপুর শেরেবাংলায় হতে যাওয়া ৫ ম্যাচের টি-২০ মাঠে গড়ানোর আগেই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ। সফরকারী অস্ট্রেলিয়াও চায় জয়। তবে জয় ছাড়াও আরো একটি লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল থেকে মাঠে নামছে সবাই। সেটি হলো অক্টোবর-নভেম্বরে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। অস্ট্রেলিয়া একটু বেশিই জোর দিলো কন্ডিশনেরর ওপর। জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ফেরার পর তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে গতকাল প্রথম অনুশীলনে ফিরেছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া।
প্রয়োজনে সাকিব-মিঠুন হবে ওপেনার : ডোমিঙ্গো
সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়ে রাখলেন মিডিয়াকে নিতে হবে পজিটিভ ভূমিকা। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ টি-২০তে ভালো দল নয়, এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ক্রমাগত নেতিবাচক লেখাপড়াটা হতাশার। উন্নতির সুযোগ অবশ্যই আছে, ভালো একটা টি-২০ দল হওয়ার সব উপকরণই আছে আমাদের। হ্যাঁ, হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শারীরিক দিক দিয়ে আমরা ততটা শক্তিশালী নই, তবে আমাদের দলে স্কিলের দিক দিয়ে ভালো ব্যাটসম্যান আছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭ জনের স্কোয়াডে ওপেনার আছেন দু’জন। যদি তারা ইনজুরিতে পড়েন বা অন্য কোনো কারণে একাদশে সুযোগ না পান, সেক্ষেত্রে বিকল্প ওপেনার হিসেবে খেলতে পারেন সাকিব-মিঠুন। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টা নিয়ে অনেক ভেবেছি। এখন স্কোয়াডে সাকিব আছে, সে ওপেনিংয়ে উঠে আসতে পারে। মোহাম্মদ মিঠুন দলে ফিরে এসেছে। যদিও সে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, তবে দলে থাকা কোনো ওপেনার ইনজুরিতে পড়লে এই সংস্করণে প্রয়োজনে সেও ওপেন করতে পারে। দেশের হয়ে ইনিংস শুরু করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মিঠুনের।
যেহেতু ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ, তাই আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো পারফর্ম করতে চায় টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ পর্যন্ত মাত্র ৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে অসিদের বিপক্ষে খেলেছিল টাইগাররা। যেকোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এটিই সব কম ম্যাচ বাংলাদেশের। সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানান, সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করার পাশাপাশি দুবাই এবং ওমানে হওয়া আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য সঠিক সমন্বয় খুঁজে বের করার সুযোগ থাকছে। আমাদের সেরা কম্বিনেশন খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সিরিজ এবং আমরা ভালো খেলার জন্য বদ্ধপরিকর। আমি মনে করি আমরা ভালো উইকেটে খেলতে যাচ্ছি। এখানকার কন্ডিশন বিদেশের মাটিতে খেলার চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী হবে। সিরিজে আমরা ভালো একটি উইকেটে পেতে যাচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement