২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নতি ১ পয়েন্ট

২০১৮ বাছাই পর্বে মোট ব্যয় ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা; ২০২২ বাছাই পর্বে মোট ব্যয় ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা; ২০২২ এর বাছাইয়ে ছিল ১ কোচ, ২০১৮ এর বাছাই পর্বে ছিল ৪ কোচ
-

ফুটবল উন্নত একটি দেশের যাবতীয় পরিকল্পনাই এক বিশ্বকাপ শেষে পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কোচের নিয়োগও হয় সেভাবে। তবে বাংলাদেশের পরিকল্পনাই সাফ ফুটবল কেন্দ্রিকই মূলত। কোচের নিয়োগ, মূল টার্গেট সবই আঞ্চলিক এই আসরকে ঘিরে। এর পরও বাংলাদেশের ফুটবলের বড় মঞ্চ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব। এবার এই বাছাই পর্বে বাংলাদেশ পাঁচ দলের গ্রুপে পঞ্চম হলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২০১৮ সালের বাছাই পর্বে গ্রুপে পঞ্চম হলেও পয়েন্ট ছিল ১। এবার সেই ভাণ্ডারে যোগ হয়েছে ২ পয়েন্ট। সাড়ে তিন বছর ধরে চেষ্টার পর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ১ পয়েন্ট উন্নতি। এই উন্নতিই লাল-সবুজদের নিয়ে গেছে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে। ২০১৬ সালে ভুটানের কাছে প্লে-অফে হেরে এই বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। এএফসির দৃষ্টিতে এক বিশ্বকাপ শেষে পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত একটি দেশের জাতীয় দলের সব কার্যক্রমই পরবর্তী বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের আগে বাংলাদেশের এএফসি র্যাংকিং ছিল ৩৫ এর মধ্যে। ফলে খেলতে হয়নি প্রাক বাছাই পর্ব। ২০১৫ ও ২০১৬ সাল মিলে এই বাছাই পর্বে খেলতে বাংলাদেশ চার কোচ বদল করে। কিন্তু প্রাপ্তি মাত্র এক পয়েন্ট। তা-ও ঘরের মাঠে তাজিকিস্তানের সাথে ১-১ এ ড্র করে। এবার অবশ্য দুই ড্রই এসেছে বিদেশের মাঠে। কলকাতায় ভারতের সাথে ১-১ এ ড্র করার পর কাতারের দোহায় ১-১ এ ম্যাচ শেষ করা আফগানিস্তানের সাথে।
ভুটান ট্র্যাজিডির পর বাংলাদেশ ১৭ মাস কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। ২০১৮ সালের মার্চে লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ফের মাঠে নামা লাল-সবুজদের। সে ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করার পর থেকে ক্রমশ ভালো খেলতে থাকা আন্তর্জাতিক ম্যাচে। সাফ ও ফিফা-এএফসির ম্যাচ এবং প্রীতি ম্যাচ ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলেই গত সাড়ে তিন বছরে জাতীয় দলের পেছনে বাফুফের ব্যয় ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ৮ শত টাকা। কোচের বেতন, ক্যাম্প খরচ, ফুটবলারদের হাত খরচ এবং বিমান ভাড়া বাবদই এই অর্থ ব্যয়। লাওসের সাথে ফিফা প্রীতি ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়েন অ্যান্ড্রু অর্ড। এরপর শুরু জেমি ডে পর্ব। এর আগে ২০১৮ সালের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন লর্ড উইগ ডি ক্রুয়েফ, সাইফুল বারী টিটু, ফাবিও লোপেজ ও গনজালো মরেনো। ২০১৮ এর বাছাই পর্বে বাংলাদেশ ৮ ম্যাচে দুই গোল দিয়ে আর ২২টি হজম করে ১ পয়েন্ট পায়। এই দুই গোলের একটি ছিল আত্মঘাতী। এবার ২ পয়েন্টের বিনিময়ে ১৯ গোল হজম করতে হয়েছে। দিতে পেরেছে তিন গোল। উন্নতি গোলের ক্ষেত্রেও।
২০১৮ সালের সেই বাছাই পর্বে খেলতে বাফুফেকে ব্যয় করতে হয়েছে ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৭ শত টাকা। এবার কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে দোহা যাওয়ার টাকা অবশ্য বাফুফেকে দিতে হয়নি। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন পুরো অর্থ বহন করে। ২০২২ বাছাই পর্বের পুরো প্রক্রিয়ার জন্য বাফুফে ২০১৮ সাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে।


আরো সংবাদ



premium cement