১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মোহামেডানের দুঃখ প্রকাশেই মাফ

-

বায়োবাবলের নিয়ম ভাঙ্গায় অবশেষে বিসিবি ও সিসিডিএমের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিল মোহামেডান ও তাদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কোনো আরগুমেন্ট না করে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সহজেই দুঃখ প্রকাশ করে পার পেয়ে গেছে দলটি। তাতেই খুশি বিসিবি। যে কারণে বড় কোনো শাস্তি পেতে হয়নি মোহামেডান কিংবা সাকিবকে।
গত ৪ জুন মিরপুরের ইনডোরে ঐচ্ছিক অনুশীলনে করতে নেমেছিলেন মোহামেডানের স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তখন সেখানে মোবাইল হাতে ঢুকে পড়েন এক সমর্থক। সাকিবের সাথে ছবি তুলতে সেখানে যান তিনি। এটি গণমাধ্যমে উঠে এলে দৃষ্টিগোচর হয় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আয়োজক সিসিডিএমের। এজন্য মোহামেডানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। গতকাল সে নোটিশের জবাব দিয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ও তাদের অধিনায়ক সাকিব। সিসিডিএমের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা।
গতকাল এক ভিডিও বার্তায় সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘গতকাল ৮ জুন আমরা বিসিবি ও সিসিডিএম থেকে একটি হিয়ারিংয়ের আয়োজন করেছি। আপনারা অবগত আছেন সিসিডিএমের অধীনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজিত হচ্ছে, সেখানে মোহামেডানের অনুশীলনে বায়োবাবল ভেঙেছে।’ ওই দিন সাকিবের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন চারজন নেট বোলার। তাদের একজন দলের পেসার রুয়েল মিয়া। বাকি দু’জনকে আনা হয়েছিল বাইরে থেকে। এদের নিয়েও উঠেছে বিতর্ক যদিও মোহামেডানের দাবি, তাদেরকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ ফল হাতে পাওয়ার পরই আনা হয়েছে।
তবে সিসিডিএম থেকে অনুমতি না নেয়ায় এই বিষয়েও শুনানি হয়। যেখানে মোহামেডানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে জানানো হয়েছে, একই ভুলের পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
কাজী ইনাম যোগ করেন, অপ্রত্যাশিতভাবে যেটা ভঙ্গ হয়েছে এটা নিয়ে মোহামেডানও সতর্ক, তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।’ করোনাভাইরাসের কারণে এবার জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা। ১২ দলকে নিরাপত্তার মধ্যে রাখতে বেশ শক্ত অবস্থানে সিসিডিএম। এর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করছে বিসিবি। তবে বোর্ড ও সিসিডিএম থেকে দলগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে, কোনোভাবেই যেন সুরক্ষা বলয়ের ব্যত্যয় না ঘটে। কেউ সুরক্ষা বলয় ভাঙলে জরিমানা ও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু কথার সাথে কাজের মিল এ দফায় দেখা গেল না!


আরো সংবাদ



premium cement