২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মুক্তি চান মোস্তাফিজ

-

ঈদের আর মাত্র তিন দিন বাকি। রমজানের শেষে পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সময়। যদিও করোনা মহামারীতে বিপন্ন গোটা বিশ্ব। আর তাতেই ভিন্ন পরিস্থিতিতে পড়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এমনকি ঈদের দিনটাতেও তাকে কাটাতে হবে রুমে বন্দী হয়ে। চাইলেই দেখা করতে পারবেন না পরিবারের সাথে। তিনি একাই নন। সাথে থাকা স্ত্রীরও একই অবস্থা। দু’জনের এবারের ঈদ কাটতে যাচ্ছে পরিবার-পরিজন থেকে অনেকটাই দূরে। এমন অবস্থা চাচ্ছেন না এই কাটার মাস্টার। তার মন ছুটে গেছে। তাই সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে সুযোগ থাকলে মুক্তির অনুরোধ জানিয়েছেন মোস্তাফিজ। ‘ভারতে প্রায় পাঁচ দিনের মতো হোটেলে বন্দী ছিলাম। এখানে এসেও বন্দী। ১০ দিন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আমরা দু’টি করোনা টেস্ট করিয়েছি। ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। যদি সরকার আমাদের কোয়ারেন্টিন কমানোর কথা বিবেচনা করে তাহলে অনেক ভালো হতো আমাদের জন্য। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাই।’
আইপিএল স্থগিত হওয়ায় ভারত থেকে দেশে ফিরে সাকিব ও মোস্তাফিজ সরকারের নিয়ম অনুসারে ৬ মে থেকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন আছেন। ঈদের পরই ২৩ মে থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। ২১ তারিখের আগে তার মাঠে নামার সুযোগ নেই। তাই স্বল্পভাষী মোস্তাফিজ মনে করেন এভাবে ঘরবন্দী থাকলে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হবে। আর প্রস্তুতি ছাড়া ম্যাচে অংশ নেয়া অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ।
হোটেল রুমে দেশের এই কাটার মাস্টার বিষন্ন সময় কাটাচ্ছেন। তার কথায়, ‘কি আর করবÑ নামাজ কালাম পড়ি, টিভি দেখি আর হালকা ব্যায়াম করি। হোটেলেই যদি ঈদ করতে হয় তাহলে মন তো খারাপ হবেই।’
উল্লেখ্য, দেশে ফেরার পরপরই সাকিব ও মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিন শিথিল করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে অনুরোধ করেছিল বিসিবি। কিন্তু সেটি প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে সাকিব-মোস্তাফিজের দু’দফা করোনা ফলাফল নেগেটিভ আসায় আবারো আবেদন করেছে বিসিবি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘তাদের কোয়ারেন্টিন শিথিলে আবারো আবেদন করেছে বিসিবি।’
বিসিবির চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরী জালালেন, দু’টি টেস্টে নেগেটিভ হওয়ার পর সাকিব-মোস্তাফিজের কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই। কোয়ারেন্টিন মুক্ত হতে আর কোনো করোনা টেস্টেরও প্রয়োজন নেই। তবে তারা কোয়ারেন্টিন থেকে কবে বের হবেন, এ কথা আমি বলতে পারছি না।


আরো সংবাদ



premium cement