২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মালদ্বীপ যাওয়া হলো না বসুন্ধরার

ব্যাঙ্গালুরু এফসির কারণেই স্থগিত খেলা; ক্ষতিপূরণ চাইবে বাংলাদেশী ক্লাবটি
-

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগের রাতে বহরের সব সদস্যের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় পূর্ণ শক্তি নিয়েই মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য তৈরি। সন্ধ্যায় মালেগামী বিমানে চড়ার জন্য গতকাল দুপুরে ক্লাব ভবন থেকে বাসে উঠে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় কর্মকর্তরা। তখনই এএফসির নির্দেশনা। স্থগিত করা হয়েছে এবারের এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচ। সে সাথে যারা এই আসর খেলতে মালেতে গেছে তাদের ফিরতি টিকিট কাটতে এবং যারা এখনো মালদ্বীপ পৌঁছায়নি তাদের টিকিট বাতিল করার নির্দেশ। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের এই বার্তা পাওয়ার পর বাস থেকে নেমে ক্লাব ভবনে ফিরে যেতে হয় বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের।
উল্লেখ্য, ১৪-২০ মে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে হওয়ার কথা ছিল চার দলের এই গ্রুপ পর্ব। এর আগে আগামীকাল প্লে-অফে খেলার কযা হওয়ার কথা ছিল মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস ও ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসির। একেবারে শেষ সময়ে ‘ডি’ গ্রুপের খেলা স্থগিত হওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হলো বাংলাদেশ লিগ চ্যাম্পিয়নদের। জানা গেছে, মালেতে পৌঁছে করোনা প্রটোকল অমান্য করে ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা। এ কারণেই স্থগিত হয় খেলা।
এবারের এই গ্রুপ পর্ব যে যথাসময়ে হবে না সে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। যখন মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দেশে করোনার ভয়াবহ বিস্তারের জন্য এই বাছাই পর্ব স্থগিত করতে এএফসিকে অনুরোধ করে। এর পরও এশিয়ার ফুটবলের সর্বময় সংস্থাটির খেলা না পেছানোর অনড় অবস্থান ম্যাচগুলোর ব্যাপারে আশা জাগাচ্ছিল। প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু মালেতেও পৌঁছে যায়। অথচ কালই সুর পাল্টায় এএফসি। করোনার কারণে স্থগিত করার নির্দেশ ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচগুলো। কবে হবে এই ম্যাচগুলো তা পরে জানাবে বলে জানিয়েছে এএফসি।
শুরুর পাঁচ দিন আগে খেলা স্থগিত করায় বসুন্ধরা কিংসকে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হলো। ৪৫ জন সদস্যের বিমান ভাড়া ও হোটেল ভাড়া ফেরত পাওয়া যাবে না। শর্তটা তেমনই। এর পরিমাণ কোটি টাকার উপরে। অবশ্য বাংলাদেশী ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান জানান, ‘আমরা এএফসি কাছে এ জন্য ক্ষতি পূরণ চাইবো।’ তার মতে, ‘ব্যাঙ্গালুরুর কারণে কেন খেলা স্থগিত হবে।’ এর আগে গত বছরও এএফসি কাপের পাঁচ ম্যাচ বাতিল হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল তাদের। সে অর্থ অবশ্য পায়নি তারা।
তবে ১৪ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসর স্থগিতের পেছনে ব্যাঙ্গালুরু ক্লাবের খেলোয়াড়দের দায় আছে। তারা গত শুক্রবার মালেতে পৌঁছে করোনা প্রটোকল মানেনি। রাস্তায় গিয়ে ছবি তুলেছে। যা ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছে মালদ্বীপ সরকারকে। এরপরই তারা ফের এএফসিকে অনুরোধ করে খেলা স্থগিত করতে। সে সাথে ব্যাঙ্গালুরুকে দেশে ফেরত যেতে নির্দেশ দেয়। জানিয়েছে মালদ্বীপের আদহাদু নিউজ। এ দিকে গোল ডট কম জানায় অপর ভারতীয় ক্লাব মোহনবাগানের তিন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হন।

 


আরো সংবাদ



premium cement