ফাইনালে ম্যানইউ-ভিয়ারিয়াল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর ইউরোপা লিগেও সুযোগ ছিল ‘অল ইংলিশ’ ফাইনালের। কিন্তু আর্সেনালের ব্যর্থতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। প্রথম লেগ জয় ও ফিরতি লেগের ড্রয়ে আর্সেনালকে বিদায় করে ফাইনালে উঠেছে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। অপর দিকে প্রথম লেগের বড় জয়ে ফাইনালে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফিরতি পর্বে রোমার বিপক্ষে হেরেও শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে উলে গুনার সুলশারের দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ৩-২ গোলে হেরেছে ম্যানইউ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৬-২ গোলে জেতা ইংলিশ দলটি দুই লেগ মিলিয়ে ৮-৫ অগ্রগামিতায় ফাইনালের টিকিট পেল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনাল-ভিয়ারিয়াল ফিরতি পর্বের লড়াই গোলশূন্য ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল স্প্যানিশ দলটি।
রোমার বিপক্ষে ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ম্যানইউ। গোলরক্ষককে একা পেয়ে এডিনসন কাভানির চিপ ক্রসবারের ওপরে পড়ে বাইরে চলে যায়। সাত মিনিট পর উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের শট ঠেকান গোলরক্ষক। ৩৯ মিনিটে কাভানির দারুণ গোলেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ফ্রেডের পাস ধরে এগিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে রোমা। ৫৭ মিনিটে কাছ থেকে হেডে সমতা ফেরান এডিন জেকো। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শটে পরের গোলটি করেন ব্রায়ান ক্রিসতান্তে। পরের তিন মিনিটে আরো দুই গোল খেতে বসেছিল ইউনাইটেড। তবে ডেভিড ডি গিয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় তারা। ৬৮ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রসে হেডে স্কোরলাইন ২-২ করেন কাভানি। নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে নিকোলা জালেভস্কির গোলে রোমা আবার এগিয়ে যায়। তবে প্রথম লেগের বড় জয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকে দ্য রেডসের হাতেই।
এ দিকে আর্সেনাল প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে। ২৬ মিনিটে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের শট পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। আগামী ২৬ মে পোল্যান্ডের গোডাইন্সকে ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ভিয়ারিয়াল।