১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রথমবার ফাইনালে ম্যানসিটি

-

জীবন দিয়ে হলেও ফাইনালে পিএসজিকে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। চোটের ছোবলে মাঠে নামা হলো না কিলিয়ান এমবাপ্পের। আর নেইমার ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। প্রতিপক্ষের অগোছালো ফুটবলের বিপরীতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখাল ম্যানচেস্টার সিটি। আরেকটি দুর্দান্ত জয়। সেমিফাইনালের দুই লেগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে উড়িয়ে ক্লাবটির ১৩৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পা রাখল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে সিটিজেনরা। পিএসজির জালে দুই অর্ধে একবার করে বল পাঠান রিয়াদ মাহরেজ। প্রথম লেগেও জয় নিশ্চিত করা গোলটি করেছিলেন মাহরেজ। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে লাল কার্ড দেখালে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। বাকি সময়ে আর লড়াইও করতে পারেনি প্যারিসিয়ানরা।
প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে জেতায়, দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে ফাইনালে উঠল পেপ গার্দিওলার দল। তুষারে মাঠের অনেকটা জায়গা ঢেকে ছিল। তাতে ফুটবলের স্বাভাবিক ছন্দ কিছুটা বিঘœ ঘটায়। বিরতির পর আবার নামে বৃষ্টি। তবে কোনো কিছুই থামাতে পারেনি দুরন্ত সিটিকে। পিএসজির জন্য হিসাবটা আগে থেকেই ছিল বেশ কঠিন। শুধু জিতলেই হতো না, ব্যবধানটাও রাখতে হতো যথেষ্ট। তেমন কিছুর সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।
পাঁচ মিনিট পরেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে কেভিন ডে ব্রুইনের শট মার্কিনিয়োসের পায়ে লেগে বল চলে যায় ডান দিক। ছুটে গিয়ে জোরালো কোনাকুনি শটে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মাহরেজ।
ম্যাচে পিএসজির একটি মাত্র সুযোগ নষ্ট হয় মার্কুইনহোসের হেড ক্রসবারে লাগায়।
৫৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় সিটি। তবে ফিল ফোডেনের জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন নাভাস। তবে এর ১০ মিনিট পরই ম্যাচ প্রায় শেষ করে দেন মাহরেজ। বাঁ দিক থেকে দারুণ পাল্টা আক্রমণে উঠে কেভিন ডি ব্রুইনেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফোডেন। এরপর ফিরতি পাস পেয়ে ডান দিকে ক্রস বাড়ান তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। আর কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন মাহরেজ (৬৩ মিনিট)।


আরো সংবাদ



premium cement