২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে জিয়ার হাসি

পুরুষ কাবাডিতে স্বর্ণজয়ী কোচ জিয়াকে কাঁধে নিয়ে বিজিবির খেলোয়াড়দের উল্লাস : নয়া দিগন্ত -

ওরা দুইজন সহোদর। উভয়ই দেশের কাবাডির বড় তারকা। একজন কোচ হিসেবে। অন্য জন খেলোয়াড় পরিচয়ে। তবে বর্তমানে তাদের কেউ-ই জাতীয় দলে নেই। আপাতত সাবেকের খাতায়। কাল এই দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ কাবাডি স্টেডিয়ামে। নবম বাংলাদেশ গেমসে পুরুষ কাবাডির ফাইনালে। আবদুল জলিল ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কোচ। আর জিয়া তার পুরনো দল বিজিবির কোচ হিসেবে। শ্বাস রুদ্ধকর- তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দুই দলের ফাইনালটা দারুণ উপভোগ করেছেন উপস্থিত দর্শকরা। ম্যাটে যখন দুই বাহিনীর স্বর্ণ জয়ের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তখন ডাগ আউটে চলছিল দুই ভাইয়ের স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্ত। শেষ পর্যন্ত হাসি ছোটভাই জিয়াউর রহমানের। ২৪-২২ পয়েন্টে বিমান বাহিনীকে হারিয়ে স্বর্ণপদক ধরে রাখে জিয়ার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। আর প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে অল্পের জন্য হেরে রৌপ্যতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বিমানবাহিনীকে। অন্যদিকে মহিলা কাবাডিতে পুলিশকে ১৫-১৪ পয়েন্টে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছে আনসার।
জলিল কোচ হিসেবে এবং জিয়া খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশকে এশিয়ান গেমসে রৌপ্য এনে দেন। কাল কাবাডি মাঠে দুই ভাইয়ের জন্য ছিল নিজ দলকে স্বর্ণ এনে দেয়ার চ্যালেঞ্জ। এই প্রথম ফাইনালে উঠা বিমানবাহিনী কাবাডি দলের। দল স্বর্ণ জিতলে তা জলিলের কোচিং ক্যারিয়ারে যোগ হবে আরেকটি সাফল্যের পালক। অন্য দিকে আসরে বহু কষ্টে জয় পেতে থাকা বিজিবির শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে ফাইনালে কোচ হিসেবে পেতে জিয়াকে নিয়ে আসা র্যাব থেকে। উল্লেখ্য জিয়ার পোস্টিং এখন র্যাবে। ম্যাচে একপর্যায়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজিবি। প্রথমার্ধে ১০-৭ এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ২১-১৪। কিন্তু বিমানবাহিনীর খেলোয়াড়রা শেষ দিকে তুমুল লড়াই করে ব্যবধান প্রথমে ২১-১৯ ও পরে ২২-২১ করে ফেলে। সে অবস্থা থেকে বিজিবির স্বর্ণ নিশ্চিত করেন জাকির হোসেন।
জাকিরের এই অবদানের কথা উল্লেখ করেন বিমানবাহিনীর কোচ আবদুল জলিলও। সাথে উল্লেখ করেন, ‘আমরা হেরেছি খেলোয়াড়দের অনভিজ্ঞতার কারণে।’ আর বিজিবির সাফল্যের জন্য কোচ জিয়া দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার সাথে বলেন, ‘আমরা টেকনিক্যাল পয়েন্টে ম্যাচ জিতেছি। তা ছাড়া আমরা সব সময়ই এগিয়ে ছিলাম।’ জিয়াকে পেয়ে অভিভূত বিজিবির রেইডার জাকির জানান, ফাইনালে কোচ হিসেবে আমরা জিয়া ভাইকে পেয়ে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠি।
বড় আসরের ফাইনালে এই প্রথম কোচ হিসেবে দেখা জিয়া ও জলিলের। এর আগে স্বাধীনতা দিবস কাবাডির গ্রুপ ম্যাচে সাক্ষাৎ। ২০১৬ শিলং-গৌহাটি এসএ গেমসে মহিলা জাতীয় দলে জলিলের সহকারী কোচ ছিলেন জিয়া। জলিলের আশাবাদ, কোচ হিসেবে আরো ভালো করবে জিয়া। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের কোচ হওয়ারও যোগ্যতা রাখে।’ আর বড়ভাইয়ের অবদানের কথা স্বীকার করে জিয়া বললেন, ‘জলিল ভাই-ই আমাকে কাবাডি শিখিয়েছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement